নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল সদর নৌ থানার কারেন্ট জাল বিক্রি করবো,পারলে ঠেকান সংবাদকর্মীদের এমনটি হুংকার দেয় নৌ থানার মাঝি সোহরাব্
নৌ থানায় অস্থায়ী মাঝি সোহরাবের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রায় ৮০ হাজার টাকার কারেন্ট জাল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল র্কীতনখোলা নদীর পূর্ব পার চরকাউয়া ইউনিয়নের উত্তর পার্শ্বে পামের হাটে চলছে জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে আসা অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যাবসা। ইলিশ রক্ষার্তে বরিশালের বিভিন্ন নদীর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে এবং অভিযান শেষে জব্দকৃত জাল নিয়ে যাচ্ছে মাঝিরা।
এদের মধ্যে নৌ থানার মাঝি সোহরাব ও খোকন,সিরাজ,নুর হোসেন ওরফে নুরু তাদের একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে যারা অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যাবসা করছে চরকাউয়া ইউনিয়নের পামের হাট বাজারে।
আর এসব কারেন্ট জাল তাদের কাছে বিক্রি করতে দিচ্ছে অভিযুক্ত বরিশাল সদর নৌ থানার মাঝি সোহরাব হাওলাদার।
সূত্রে জানাযায়, গতকাল সোহরব মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা,চরকাউয়া পামের হাট সহ বেশ কিছু প্রায় ১৩ বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল ৮০হাজার টাকা বিক্রি করেন। স্থানীয়রা জানান, সোহরাবের কারেন্ট জাল বিক্রির বিষয়টি ওই এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানান, অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে আসা কারেন্ট জাল অবৈধ হওয়া সত্বেও হরদমে জাল বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ থাকলেও পুরাতন ও ছিড়ে যাওয়া জাল গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এবং মাঝি সোহরাব নতুন কারেন্ট জাল গুলো নিয়ে যায় এবং পুনরায় জাল গুলি জেলেদের কাছে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গত দিন ১৮ পূর্বে দেখা যায়, মাঝি সোহরাবের ঘরের ভিতর ৫০ হাজার মিটার ও বাহিরে দশ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আছে এবং কিছু দালালের মাধ্যমে জাল বিক্রি করছিল তিনি। (এ সংক্রান্ত প্রতিবেদকের কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে)
সর্বনিম্ন এক একটি জাল চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার ও সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করেন সোহরাব। সরকারের কঠোর র্নিদেশ থাকা সত্বেও মাঝিদের অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যাবসা থেমে নেই।
অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রিকালে গতকাল রাতে পামেরহাট নামক স্থানে সাংবাদিকদের কাছে ধরা পড়ে । একপর্যায়ে ক্ষমা চেয়ে ও অর্থ দিয়ে সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন নৌ থানার অস্থায়ী মাঝি সোহরাব।
পরে সংবাদকর্মী ম্যানেজ করতে না পেরে আর কারেন্ট জাল বিক্রি করবে না বলে ওয়াদা করেন সোহরাব।
এ বিষয়ে মাঝি সোহরাব জানান,ডিউটি আমি করি না ,আমার ডিউটি সিরাজ ও খোকন করে । থানায় থেকে ডিউটি শেষে আমাদের কোন টাকা দেওয়া হয়না। টাকার বিনিময়ে ওরা দুই একটা কারেন্ট জাল থানা থেকে দেয়। সেই জাল জমিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। আর সাংবাদিকরা লিখলে কিছুই হবে না। নৌ থানায় আমি ডিউটি সব সময়ই করতে পারবো। যা লেখার তাই লিখতে পারেন।তাতে কোন সমস্যা নাই আমার।
এ বিষয়ে বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবুও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।