ডেস্ক রিপোর্ট: রোহিঙ্গা সন্দেহে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে করা সাড়ে পাঁচশ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) আবেদন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিজেদের বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এনআইডি পাওয়ার জন্য মোট পাঁচ হাজার ৯০টি আবেদন করেছিলেন তারা। তবে তদন্ত শেষে এর মধ্য থেকে সাড়ে পাঁচশ’টি আবেদন বাতিল করে ইসির এনআইডি উইং।
এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তারা জানান, আবুধাবিতে এ পর্যন্ত এনআইডি পাওয়ার জন্য মোট পাঁচ হাজার ৯০ জন ব্যক্তি আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে চট্টগ্রামে, দুই হাজার ৩২১টি। এরপরে কুমিল্লা থেকে আবেদন পড়েছে এক হাজার ২৩৫টি। ঢাকায় আবেদন পড়েছে ৪৭৭টি। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে রংপুর থেকে ৩৪টি।
এ পর্যন্ত আবেদন অনুমোদন হয়েছে এক হাজার ২০৪টি। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ৩৯৪টি। এছাড়া, ৫৭৯টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে তদন্তাধীন রয়েছে দুই হাজার ৯১৩টি আবেদন। সবচেয়ে বেশি আবেদন বাতিল হয়েছে কুমিল্লায় ২৪৯টি, এরপরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন বাতিল হয়েছে চট্টগ্রামে ১১৮টি। ঢাকায় বাতিল হয়েছে ৭০টি আবেদন। ২২ আগস্ট পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন তিন হাজার ৭৯১ জন। এদের মধ্যে এনআইডি পেয়েছেন ৩৩৬ জন। পুনরায় আবেদন করেছেন নয়জন।
এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তারা আরও জানান, অনেকেই জন্মসনদ সংগ্রহ করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাগিয়ে নিয়ে আমিরাতে বসবাস করছে। এনআইডি পাওয়ার জন্য মূলত তারাই আবেদন করছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে দেশটিতে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও এনআইডি নেওয়ার জন্য আবেদন করছে। তবে তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে পাঁচ শতাধিক আবেদন বাতিল করেছে ইসি।