নিজস্ব প্রতিবেদক: আখেরী মুনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিল।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
এরআগে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর চরমোনাই পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এ মাহফিল।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুরমত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।
আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান।
আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, চরমোনাই মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লীদের মধ্য হতে তিনদিনে মুন্সিগঞ্জের মো: আজমত শেখ, মুন্সিগঞ্জের মো: হাশেম রাড়ী, পটুয়াখালীর সুলতান প্যাদা, খুলনার মো: আনোয়ার হোসেন, মুন্সিগঞ্জের শামসুল হক কাজী মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মরদেহ জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় প্রেরণ করা হয়।
চরমেনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় দুই সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়।