নিজস্ব প্রতিবেদক।।
একাধিক মামলার আসামি ও নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডে জর্জরিত এমন ব্যাক্তি ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জানান দিচ্ছে। শুধু মামলাই নয়, এলাকার চোর ডাকাতদের শেল্টার দেয়া মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে চলা ও শালিসির নাম করে পয়সা হাতানোসহ সকল বিতর্কিত কাজই যেনো তার মূল ধান্দায় পরিনত হয়েছে।
এমন ব্যাক্তির নির্বাচনে অংশ নেয়ার খবরে এলকায় রীতিমত হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। এই ব্যাক্তির নাম বাছির আহমেদ ওরফে বাচ্চু হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের
কালেঙ্গা গ্রামের এই ব্যাক্তি তার জীবনদশায় কোনো চাকুরী বা ব্যবসা বাণিজ্য না করলেও চলাফেরায় রাজার হাল। কি তার আয়ের উৎস? এনিয়ে গুঞ্জন রয়েছে বরাবরই।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ জব্বার বাবুলের ভাই এই বাচ্চু হাওলাদার। চেয়ারম্যান জব্বার বাবুলের নাম ভাঙ্গিয়ে নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডই যেনো তার মূল পেশায় পরিনত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে গত কয়েক বছর আগে ডাকাতির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় ছোহরাব নামের এক ব্যাক্তির চোখ উঠিয়ে দেয় বাচ্চু বাহিনী। সেই মামলায় দীর্ঘদিন হাজত বাস করে এখন জামিনে থাকলেও মামলা রয়েছে চলমান।
এরকম অসংখ্য বিতর্কিত ঘটনা রয়েছে বাচ্চু হাওলাদারের। কামারখালি বাজারের এক দোকানদার বলেন, সারাজীবন মানুষের উপর ধান্দা করে যে জীবনযাপন করে, সেই ব্যাক্তি জনপ্রতিনিধি হলে জনগণের উপকার করবে নাকি নিজের পকেটভারির কাজ করবে? তার এমন প্রশ্ন অনেকটা ভাবনার বটে।
অপর এক দোকানী বলেন, পারেনা মানুষের পাওনা টাকা দিতে সে আবার করবে নির্বাচন। তিনি আরো বলেন কামারখালি বাজারের অনেক ব্যবসায়ী তার কাছে টাকা পাবে, তাই অনেক দোকানদার তার কাছে পাওনা টাকা চেয়েও লাঞ্ছিত হয়েছেন। এমন ব্যাক্তি যদি হয় জনপ্রতিনিধি তাহলে সে কি জনসেবা করবে?।
বর্তমান এক ইউপি সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের যে ঘর দিয়েছেন সেই ঘরের জন্য প্রতিটি পরিবার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে হাতিয়েছেন বাচ্চু হাওলাদার। যা নিয়ে একাধিকবার সংবাদ ও প্রকাশ হয়েছেন। ঘর দেয়ার নাম করে অসহায় পরিবারদের কাছ থেকে পয়সা হাতানোর বিষয়টি ইউনিয়ের সকলেরই জানা রয়েছে।