নিজস্ব প্রতিবেদক ::
ফেসবুকে নিজের স্ত্রী’র ছবি আপলোড দিয়ে বাজে মন্তব্য করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পটুয়াখালী জেলা বড় বিঘাই গ্রামের, আলতাফ হোসেন, ফকিরের পুত্র মোঃ মাছুম ফকিরের সাথে, বরিশালের কে ডি সি এলাকার( ছদ্মনাম রানী) সাথে ২০১৫ সালে পারিবারিক ভাবে,বিবাহ হয়।
সাত বছর সুখে শান্তিতে সংসার করেন রানী। পরবর্তীতে মাসুম বিভিন্ন সময় রানীকে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন মাছুম ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় রানীকে মারধর করেন মাছুম মিয়া (রুবেল) ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয় ভাবে শালিস মিমাংসা বসার কথা থাকলে ও মাসুম প্রভাব ঘাটিয়ে স্থানীয় শালিসদারদের মানতে নারাজ । একপর্যায়ে মাছুমের স্ত্রী ও মেয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে বরিশালে বাবার বাড়ি চলে আসে। পরে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে যৌতুকের একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং সি,আর নং – ৯৫১/।
পরবর্তীতে ওই মামলায়, মোঃ মাসুম মিয়া (২৭), পিতা মোঃ আলতাফ হোসেন ফকির, মোঃ আলতাফ হোসেন ফকির ,পিতাঃ মৃত কাদের ফকির[, রহিমা বেগমড় ,স্বামী মোঃ আলতাফ হোসেন ফকির আটক হন।
মামলার সুত্রে জানা, সাত দিন কারাভোগ করেন মাছুম ফকির (রুবেল) ।তবে রানীর পরিবারের অভিযােগ, মাসুম
এখন বিভিন্ন ভাবে ফেসবুকে স্ত্রী রানীর ছবি আপলোড দিয়ে বাজে রকমের মন্তব্য করেন মাছুম ও তার পরিবারের লোকজন। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন হয় রানী । দুই বছর আগে মাছুমের সাথে ডিভোর্সের কথা থাকলেও তা মাছুম ও তার পরিবারের লোকজন মানছেন না। তাদের দাবি যৌতুকের টাকা দিয়ে যেতে হবে। রানী বলেন, আমি গরির ঘরের মেয়ে বলেই, কোনো বিচার পাবোনা। তাদের এতোটাই প্রভাব। যে টাকার কাছে আইন ও অন্ধ? আমি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে বলে গেলাম, এভাবে আমার ছবি আপলোড দিয়ে মানহানী করলে, আমি ও আমার মেয়ে বিষ পান করে মৃত বরন করবো।তাতে দায়ী থাকিবে আমার স্বামী মাছুম ও তার পরিবারের সদস্যরা। এবিষয় মাছুমের কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ফেসবুকে তার ছবি কে আপলোড দিয়েছে, তা আমি জানি না। স্টুডিওতে অনেক ছবি আছে, সেখান থেকে কেউ আপলোড দিয়ে থাকলে ,আমি কি করবো?।