নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদার পূর্ব শক্রতার জের ধরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁনোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১লা মার্চ সোমবার রাত আনুমানিক ১২ টায়। পিতা প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার ওরফে মনু তালুকদার মারা যাওয়ার পরে উত্তরসূরি হিসেবে উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়েছেন এবং সাধারন মানুষের কাছে আস্থা হারিয়েছেন চেয়ারম্যান হিসেবে। অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলেও সংশোধন হননি এই মুন্না চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই কলসকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত মোঃ কাছেম খানের পুত্র মোঃ নূর হোসেন খান এবং সেলিম খান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমানের সাথে বাকেরগঞ্জের পৌরমেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার প্রোগ্রামে অংশ নেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে চেয়ারম্যান মুন্না তাদেরকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন বাদী হয়ে ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের সিনিয়র চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে চেয়ারম্যান মুন্নার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-সিআর-৪৫৮। মামলা তদন্ত করছেন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি জানান দিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, মুন্না আওয়ামীলীগের নূন্যতম প্রাথমিক সদস্য ও নয়, বিধায় সে স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে তাকে বহিস্কারের সুযোগ নেই বলে এই সুবিধাটা নিতি চাচ্ছে।
তিনি বলেন তাদের রিজাভ ভোট পাঁচ হাজারের উপরে রয়েছে তা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে হারানো সম্ভব।ঘরে আগুন দিয়ে অসহায়ত্বের পরিচয় দিয়েছেন।আগুন লাগার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন হঠাৎ করে খবর পেয়ে ছুটে চলে আসেন এবং বলেন আমার ঘরে আগুন দিয়েছে যাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে যাই।
বিষয়টি পরিকল্পিত তা সরোজমিনে গিয়ে বোঝা যায় পরিত্যক্ত ঘরটি যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে না, সেখানে আগুন লেগেছে। সচেতন মহলের দাবি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই ঘরে আগুন লাগিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।