ফরচুন গ্রুপের একভাই হাসপাতালে আরেক ভাই হাজতে
বিএনপি নেতাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ফরচুন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরিশালে বিএনপি নেতাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফরচুন সুজ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমানুর রহমানকে (৪৫)। শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে।
আমানুর রহমান বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারকে হত্যা চেষ্টার মামলায় ৩৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই মামলার প্রধান আসামি।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তার বাসা থেকে আমানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন তারা। শুক্রবার সকালে তাকে বরিশালে কাউনিয়া থানায় নিয়ে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাৎক্ষণিকভাবে আমানুর রহমানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পর আমানুর রহমানকে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। সে মডেল থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
জানা গেছে, আমানুর রহমান ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিপিএলে ফরচুন বরিশালের কর্ণধার মিজানুর রহমান ওরফে ফরচুন মিজানের ছোট ভাই।
তাছাড়া মিজানের অপর ভাই রবিউল ইসলামকেও শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা উত্তর এলাকা গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ। ইউরোপে রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া দুটি কাভার্ডভ্যানভর্তি ফরচুন সুজ কোম্পানির কোটি টাকার জুতা জুরির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে একইদিন আপন দুই ভাই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বরিশাল বিসিকের ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন- ফরচুন সুজ কোম্পানির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাইকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়েছেন ফরচুন মিজান। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
