ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা আরও তীব্র হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের কারণে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতকে অবাক করেছেন, যখন তিনি হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়ে একটি উত্তেজনাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
শেখ হাসিনার ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জটিল হয়ে পড়েছে। ইউনূস ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হাসিনাকে যদি ভারতে রাখা হয়, তবে তাকে কোনো রাজনৈতিক বিবৃতি দিতে হবে না। এই মন্তব্যের মাধ্যমে ইউনূস বিশেষত ১৩ আগস্ট হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে তিনি ‘ন্যায়বিচার’ দাবি করেছিলেন এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তদন্তের দাবি করেছিলেন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনূসের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাননি, তবে তাদের মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ভারতের সাবেক কূটনীতিকরা ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যা মিডিয়ার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ড. ইউনূসকে তার মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
বর্তমানে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ড. ইউনূসের মধ্যে টেলিফোনে যোগাযোগ হলেও, দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তেজনা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং জঙ্গি মুক্তির ঘটনাগুলোর মধ্যে, ভারত এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।