ঢাকাসোমবার , ৯ অক্টোবর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন বরিশাল আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদন
অক্টোবর ৯, ২০২৩ ৩:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এইচ.এম.এ রাতুল : ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলায় এক আসামীকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। রায় ঘোষনার সময় দণ্ডিত চার আসামী উপস্থিত ছিলেন। নিহত ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এর রায় ঘোষনা করেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, ফাঁসির দণ্ডিত আসামী রাসেল হাওলাদার (৩০) বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মাইঠা চেয়ারম্যান বাজার এলাকার সালাম হাওলাদারের ছেলে। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলো- একই গ্রামের আব্দুল মজিদ বয়াতির ছেলে বেল্লাল হোসেন (৩৩), মৃত রুহুল আমিন বয়াতির ছেলে শাহিন মিয়া (৩২) ও সানু হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৩০)।

এদিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় রায়ে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মাইঠা চেয়ারম্যান বাজার এলাকার আব্দুল লতিফ মৃধার ছেলে সৈয়দ মৃধা (৩০) কে খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার বরাতে পিপি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে গভীর নলকুপ স্থাপন করতে আসে। পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিকে বালিগ্রামের সড়কে ভাড়ার মোটর সাইকেল চালক ফয়সালকে একা পায় তারা। তখন ফয়সালের পথরোধ গভীর নলকুপ স্থাপনের পাইপ বসানোর লোহার হ্যান্ডেল ও রড দিয়ে মাথায়-মুখমন্ডলে সজোরে আঘাত করে। এরপর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফয়সালকে হত্যা করে পাশের ইউসুফ হাওলাদারের দোকানের পিছনে মরদেহ লুকিয়ে ফেলে। পরে ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে লুট করা মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটর সাইকেলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। গৃহকর্তা শহিদুল এসে মারামারি থামানোর সময় মোবাইল ফোনে ফয়সালের ছবি দেখতে যায়। পরে শহিদুলের ঘরে পিছনে মোটর সাইকেল পেয়ে ফয়সালের বাবা বাদী নুরুল ইসলামকে খবর দেয়। তিনি এসে মোটর সাইকেল শনাক্ত করে।

এক পর্যায়ে আটক ৪ জনকে গনপিটুনি দেয়া হলে তারা ফয়সালকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করে। ভোর রাতে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে ৬ মার্চ সকালে আসামীদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই দিন নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নামধারী ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জনকে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করে।

বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক নকীব আকরাম হোসেন ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেয়। বিচারক ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সোমবার এ রায় ঘোষনা করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।