ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

শেবাচিম কর্তৃপক্ষের এ কেমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন রোগীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ ১:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শামীম আহমেদ : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব প্রান্তের গেট আটকে দেয়ার কারনে মেডিসিন বিভাগের হাজারো রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।

ওষুধপত্র কেনা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরে নিতে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। বাধ্য হয়ে জরুরি ওষুধ কিনতে দেয়াল টপকে কেউ আবার চলাচল করছেন গেটের নিচ দিয়ে। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে পূর্ব প্রান্তের গেটটি খোলার দাবি জানিয়েছেন। গেট আটকা থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং হাসপাতালের পরিচালকও।

এক হাজার শয্যার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের দিকে ৩টি গেট রয়েছে। জরুরি বিভাগ এবং মাঝ গেট দিয়েই চলাচল করে আসছে রোগীরা। চলতি বছর শুরুর দিকে হাসপাতালের মূলভবন থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডটি পূর্ব প্রান্তের বর্ধিত ভবনে স্থানান্তর করা হয়। খুলে দেয়া হয় পূর্ব প্রান্তের গেট।

যৌক্তিক কোনও কারন ছাড়াই কিছুদিন আগে পূর্ব প্রান্তের গেটটি আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। তাদের দাবী, একজন রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তির পর প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

সেই রোগীদের রোগ পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ট্রলিতে করে আবার অর্ধ কিলোমিটার পথ ঘুরে নিতে হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। বাইরে রোগী নিতে হাসপাতাল কর্মীদের দিতে হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাদের।

আবার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের জরুরি ওষুধপত্রও আনতে হয় অর্ধ কিলোমিটার পথ ঘুরে। বাধ্য হয়ে অনেকে দেয়াল টপকে, আবার কেউ চলাচল করেন গেটের নিচ দিয়ে চিৎ-কাত হয়ে।

পুরুষরা চিৎ-কাত হয়ে চলাচল করলেও বেকায়দায় পড়েছেন স্বজন নারীরা। দূরের পথ ঘুরে রোগীর জন্য ওষুধ-খাবার আনতে হয় তাদের। ভুক্তভোগীরা রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের পূর্ব প্রান্তের গেটটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পূর্ব প্রান্তেরগেট আটকা থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামও। তিনি সংশ্লিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।

উল্লেখ্য, একহাজার শয্যার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ২ হাজার রোগী। যার মধ্যে বেশীরভাগই মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।