ডেস্ক রিপোর্ট: নিবন্ধনবিহীন সকল মোবাইল ফোন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত এবং আমদানিকৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ডাটাবেজ এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে।’
পলক বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে রপ্তানি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা সাধারণ প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান দেশকে বিভিন্নভাবে লাভবান করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরিচয়’ ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই সেবাকে আরো সহজলভ্য করতে প্রতিটি ডাটাবেজ একটির সঙ্গে আরেকটির ইন্টারঅপারেবল করা দরকার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরিতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
এ সময় বৈঠকে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১ জুলাই দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এরপর ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈধ কিংবা অবৈধ-গ্রাহকের হাতে মোবাইল নেটওয়ার্কে সচল থাকা সকল হ্যান্ডসেট বিটিআরসির ‘নক অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি)’ সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত করা হয়। এরপর কথা ছিল ১ অক্টোবর হতে নেটওয়ার্কে নতুনভাবে সংযুক্ত সকল অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বিটিআরসিও তখন হ্যান্ডসেট বৈধ কিনা তা যাচাই করে কেনার পরামর্শ দেয়।
কিন্তু মাত্র ২১ দিন পর এই সিদ্ধান্ত হতে সরে আসে বিটিআরসি। তখন হতে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে আসা যেকোনো হ্যান্ডসেট বিটিআরসির ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারে (এনইআইআর) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে যায়।