ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে দেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) ও বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। যার একটি ছিলো বাপেক্সের সাথে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি। অন্যটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার।
চুক্তির প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ হওয়ায় ২০১৭ সালে তা বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আপিল বিভাগও চুক্তিটি বাতিল করে। ওই চুক্তির কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যায় নাইকো।
সবশেষ বুধবার (৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে যে শুনানি হয়, তাতে নাইকোর দুর্নীতির প্রমাণ হাজির করেছে এফবিআই। বলা হয়, বাংলাদেশে কাজ পেতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলো নাইকো। ওই চুক্তি প্রক্রিয়াও অস্বচ্ছ ছিলো বলেও উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত।
এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসছেন এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশের তিন সদস্য। ২২ আগস্ট এর শুনানি হবে কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত আদালতে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার চলবে কিনা, সে বিষয়ে ১৪ আগস্ট আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশের তিন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ পেলে এটা হবে দেশের বিচারিক ইতিহাসের দ্বিতীয় কোনো ঘটনা।