ঢাকাবুধবার , ৯ এপ্রিল ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বরিশাল এর স্পিডবোট এখন কার দখলে??

নিজস্ব প্রতিবেদন
এপ্রিল ৯, ২০২৫ ৪:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর স্পিডবোট ঘাট (ডিসিঘাট) নতুন পন্থায় দখল করে রেখেছে বিএনপি নেতারা। এমন একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে ১০ নং ওয়ার্ডের নেতারা স্পিডবোট ঘাট দখল করে নানা দখল বানিজ্য চালিয়ে আসছিলো। সেই সময় বরিশাল জেলা স্পিডবোট মালিক ও শ্রমিক সমবায় সমিতির নামে একটি কমিটি গঠন করে তৎকালীন সভাপতি কালাম শরিফ।  পরে ওই একই কমিটিতে সাধারন সম্পাদক পদে অহিদুল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান পায়। এরপর থেকে ওই সমবায় সমিতিতে দলিয় প্রভাব ব্যবহার করে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দখলে ছিলো ঘাট।

লিখিত অভিযোগ আরো জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ডিসি ঘাটটি পুরোপুরি দখলে নেয় মহানগর ছাত্রদলের সহ- সাধারণ সম্পাদক মাসুম, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা  নুরে আলম, দেলোয়ার তালুকদার ও আওয়ামী লীগ নেতা অহিদুল আলমসহ একাধিক নেতাকর্মী।

অভিযোগে সত্যতা জানতে অনুসন্ধানে জানা যায়,

বরিশাল জেলা স্পিডবোট শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, তিনি ওয়ার্ডের প্রতিটি প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগ মিছিল মিটিং করতেন। যার প্রায় ৫০টি ছবি রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। তবে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর হয়েও বিএনপি নেতাদের সাথে আঁতাত করে বর্তমানে সাধারণ সম্পাদকের পদে বহাল রয়েছেন।

ছাড়াও তিনি সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর আস্থাভাজন ছিলেন।

এবিষয় বরিশাল জেলা স্পিডবোট  শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের সভাপতি মিলন শেখ মুঠোফোনে বলেন, ঘাট এখন আমরা চালাই মালিকরা। আমরা কাউকে টাকা দেই না। ১টা বোট মালিক সমিতির নামে চলে সেই বোটের আয় থেকে যে টাকা হয় সেই টাকা আমরা অফিস খরচ ও নানা কাজে খরচ করি।

এদিকে জানা যায়, স্পিডবোট ঘাটে ভোলা টু বরিশাল লাইনে প্রায় ১০৪টি কোটা ছিলো। গত ৫ আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা নুরে আলম ২টি,দেলোয়ার তালুকদার ১টি ও ছাত্র দল নেতা মাসুমের বোন জামাই রুবেল ১টি করে কোটা দখল  করেন ও প্রতিদিন আরো ১টি কোটা লাইনে চলাচল করে। জানা যায়, ওই ১টি কোটার লাইনে মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উত্তলন করেন বিএনপি নেতারা। বর্তমানে স্পিডবোট ঘাটে ভোলা টু বরিশাল মোট ১০৯টি স্পিডবোট চলাচল করে বলে জানান স্থানীয়রা।

 

,,,, অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতা বলেন, নুরে আলম গত ১৫ বছরে কোনদিন মিছিল মিটিং করে নি। সে এখন মাসুম, সোহেল,ওহেদুল আলমকে নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে। নুরে আলম ২টি কোটাও নিয়েছে। তা হলে এতোদিন ওয়ার্ড শ্রমিক দল নেতা,,,,,,সোহেল আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং করেও কিভাবে তারা বিএনপির নেতা হয়? ত্যাগীরা আজ হেরে গেছে।  নর্ব বিএনপি জিতে গেছে।

 

এবিষয় নুরে আলম মুঠোফোনে প্রতিবেদকে বলেন, আমি নতুন কোন কোটা (লাইন) নেই নি।আমি আমার পুরনো লাইন চালাই। তৎকালীন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ আমার কোটায় স্পিটবোড ( লাইন)  চলাচল করতে দেয় নি। তিনি আমার উপর নির্যাতন চালিয়েছে। তাই তাদের পতনের পর আমি এখন আমার পুরনো কোটা( লাইন) ফিরে পেয়েছি। আর আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছি।

এবিষয় সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম মুঠোফোনে

আমি আওয়ামী লীগ করি না। ব্যবসা বাঁচাতে আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে যেতাম। আমাকে প্রতি ২ বছর পর পর মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রাখে৷ আর মাসুমের বোন জামাই রুবেলের ঘর পুড়ে গেছে তাই সবার অনুরোধে একটি কোটা (লাইন) তাকে দিয়েছি ও দেলোয়ার তালুকদার তিনি বিগত সময় বিদেশ ছিলেন।  এখন দেশে আসছে তাই তাকে একটা কোটা  (লাইন) দিয়েছি আর নুরে আলমের কোটা আগে ছিলো। তবে তার কোটা সাবেক মেয়র সাদিক বাদ দিয়েছিলো। তাই এখন তার কোটি আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। আর আমরা ঘাট থেকে কোন টাকা পয়সা কাউকে দেই না বলেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।