ঢাকামঙ্গলবার , ৭ নভেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

আগামী সপ্তাহে তফসিল, ভোটারদের উপস্থিতিই ইসির ভরসা

নিজস্ব প্রতিবেদন
নভেম্বর ৭, ২০২৩ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী সংসদ ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তির মধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নয়, ভোটার উপস্থিতিকে জোর দিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। রেওয়াজ অনুযায়ী ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এরপরই আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনায় কমিশন সদস্যদের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।

ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, কেউ শব্দটা ব্যবহার করছেন পারটিসিপেটরি, কেউ ব্যবহার করছেন ইনক্লুসিভ। পারটিসিপেটরি বলতে আমি যেটা বুঝেছি—ব্যাপক ভোটার যদি এসে ভোটদান করে। কে এলো, কে এলো না—আমরা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাব না।

গত ৪ নভেম্বর ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করলেও বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিল। ১৮টি দল অংশ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে কমিশন ভোটার উপস্থিতিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করছে। এদিকে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইসি। এছাড়াও সম্ভাব্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কমিশন। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনায় কমিশন সদস্যদের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিশনের অন্তত দুজন সদস্য এই পরিকল্পনায় একমত হতে পারেননি।

জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিন; অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তবে ভোটের তপসিল কবে ঘোষণা করতে হবে, এ বিষয়ে আইনে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগের সব নির্বাচনে তপসিল ঘোষণার দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা পরবর্তী সময়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে একটি প্যানেল প্রস্তুত করে ঐ প্যানেল থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। আরিপওতেও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২) ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা রয়েছে। এবারে ইসির পরিকল্পনায় ছিল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করার জন্য তাদের ৭ থেকে ১০ দিন সময় দেওয়া হবে। তারপর নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করা হবে। তপসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় ১৩ অথবা ১৪ নভেম্বর হতে পারে। তবে গত রবিবার এ বিষয়ে সিইসির কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইসি মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান দ্বিমত পোষণ করেন। তাদের মতে, তপসিল ঘোষণার দিনক্ষণ চূড়ান্ত এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগের বিষয়ে একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভার এক পর্যায়ে আনিছুর রহমান সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। পরে ইসি সচিব নিজেই বিষয়টি নিয়ে সব কমিশনারদের কক্ষে গিয়ে সরাসরি দেখা করেন এবং সিইসির সঙ্গে কমিশনার আনিছুরের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানোর জন্য অন্য দুই কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অন্যদিকে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটের তপসিল ঘোষণা করবেন সিইসি। শুধু ব্যালট ছাপানোই এখন বাকি রয়েছে, যাকে ভোটের সর্বশেষ ধাপ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পরই ছাপানো হয়ে থাকে। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানে দেখানো পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবুও সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে নির্বাচন কমিশনকে ভোট আয়োজন করতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।