ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রথম ধাপে নির্বাচনে যে ৫ কারণে ভোট কম পড়েছে: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদন
মে ৯, ২০২৪ ২:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট কম পড়ার কারণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকালের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ। এতো কম ভোট কাস্ট হওয়ার কারণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মো. আলমগীর বলেন, মোটা দাগে ৫টি কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরী আবহাওয়া, বিএনপি ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা যে এলাকায় ভোটার সেখানে না থেকে নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

তিনি বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে যে, ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারবেন। এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এ নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। এটা বলা যাবে, সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকেও জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পরিবর্তন হবে না এই নির্বাচনে। তাই দলগুলোকে ভোটে আসার জন্য আমরা আলোচনায় ডাকিনি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সব দল এলে ভোট পড়ার হার আরও বেশি হতো।

২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে হয়েছে ১১৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাটেরে ক্ষেতলালে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়ার সোনাতলায়।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (০৯ মে) দেশের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।