পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ২৪৭ কেজি ২০০ গ্রাম হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রামবাসীর সহায়তায় এই উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা হরিণের মাংস নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে একটি মাছের ট্রলার কড়ফা বাজার সংলগ্ন খালে ঢোকে। গ্রামবাসীরা ট্রলারটি সন্দেহজনক মনে করে চিৎকার দেন। এতে করে ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে পালানোর সময় দু’জনকে আটক করে গ্রামবাসীরা। গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ হারুন মোল্লা (৫৫) এবং মোঃ আবু কালাম (৫০)। হারুন মোল্লা বরগুনা জেলার গহরপুর এলাকার মৃত মহিবুল হক মোল্লার ছেলে এবং আবু কালাম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার তাপালবাড়ি গ্রামের আশরাফ আলী শিকদারের ছেলে।
উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস দুই ভাগে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৯৯ কেজি ২০০ গ্রাম মাংস উদ্ধার হয় একটি মাছ ধরার ট্রলারে, এবং ৪৮ কেজি মাংস উদ্ধার হয় সোহাগদলের গড়াইবাড়ী এলাকায় মৃত হাতেম আলীর পরিত্যক্ত ঘর থেকে। আটককৃত দু’জনকে গ্রামবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে।
নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ এইচএম শাহিন জানান, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত গঠনাস্থলে গিয়ে ট্রলার থেকে হরিণের মাংস সহ দু’জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন। স্থানীয় পরিবেশবিদরা বলছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্যপ্রাণীর প্রতি অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ এবং বন বিভাগের সহযোগিতায় এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই ঘটনায় এলাকার জনগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উভয়েই বন্যপ্রাণী রক্ষায় সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধীদের দমন করার জন্য আরও সজাগ থাকতে হবে।