ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি পদত্যাগপত্র নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। পদত্যাগপত্রটি দাবি করা হয়েছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে ভারতের দিকে চলে গেছেন। তবে আওয়ামী লীগ এই পদত্যাগপত্রটিকে সম্পূর্ণ ভুয়া ও নকল বলে দাবি করেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠিয়েছেন। পদত্যাগপত্রটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেকেই এটি সত্য মনে করতে শুরু করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দাবি করেছে যে, এটি সম্পূর্ণভাবে অপরিপক্ক এডিটেড এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশিত একটি নকল ডকুমেন্ট।
আওয়ামী লীগ তাদের পোস্টে লিখেছে যে, পদত্যাগপত্রটির বেশ কিছু গুরুতর ভুল রয়েছে, যা এটিকে ভুয়া প্রমাণ করে। তাদের দাবি অনুযায়ী, পদত্যাগপত্রে এখনও মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে, যদিও মুজিববর্ষ ২০২১ সালে শেষ হয়ে গেছে। পদত্যাগপত্রের ভাষা অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং এর মধ্যে থাকা স্বাক্ষরটি গুগল থেকে নেয়া হয়েছে, যা মূল পেজের সাথে স্পষ্ট পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, পদত্যাগপত্রে উল্লেখিত তারিখও ভুল; ৫ আগস্টের পরিবর্তে ২০ শ্রাবণ উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।
এই পদত্যাগপত্রের সত্যতা নিয়ে আওয়ামী লীগ আরও দাবি করেছে যে, শেখ হাসিনা পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেননি এবং তিনি সরাসরি তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং সম্প্রতি একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি এখনও বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং পদত্যাগ করেননি।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ দেশীয় মিডিয়াকে সতর্ক থাকতে এবং ভুল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, দেশের সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করতে হবে এবং গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি, তবে আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে।