ঢাকাশনিবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঝালকাঠিতে উন্নয়ন দেখে নৌকায় ভোট, সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩ ৩:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে বইছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। বরিশাল বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন ঝালকাঠি-১। রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নিয়ে ১ আসন এবং জেলা সদর ও নলছিটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-২ আসন। জেলার দুটি আসনই হেভিওয়েট প্রার্থীদের আসন বলে খ্যাত। ঝালকাঠিতে এখনই বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই আসনে এরই মধ্যে বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। একসময় আসনটি বিএনপির দখলে থাকলেও গত কয়েকটি নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কুক্ষিগত।

নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে মাঠ চষে বেড়ালেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের এখনো মাঠে দেখা যায়নি। তবে ভেতরে ভেতরে তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। গত ১৪ বছর মাঠ দখলে রেখে নিজেদের শক্তিশালী করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতাদের দাবি, উন্নয়নের চিত্র দেখে দুটি আসনের জনগণ টানা চতুর্থবারের মতো আবারো নৌকাকে বিজয়ী করবে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) : ঝালকাঠি জেলার দুটি সংসদীয় আসনের মধ্যে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া দুই উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন গঠিত। ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আলহাজ বজলুল হক হারুন (বর্তমান এমপি), বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাসেম সীমান্ত, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, বিএনপি থেকে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম ও জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করেছিলেন। জাতীয় পার্টির ডা. সেলিনা ও নাসির উদ্দিন। জেপির (মঞ্জু) অ্যাডভোকেট এনামুল হোসেন রুবেল।

ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি বজলুল হক হারুন পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৩ সালের পর তিনিই ২০০৮ সালে আসনটি উদ্ধার করেন। তবে সা¤প্রতিক সময়ে এ আসনের দুটি উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এমপি হারুনের। শুধু তা-ই নয়, দুই উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে ১১টি ইউপি চেয়ারম্যানই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় আসছেন না বললেই চলে। তবে হারুন থেকে দূরে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ত্রাণতহবিল থেকে অনুদানের চেক এনে বিতরণ করেন।

এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন তাদের অনেককেই এলাকার সাধারণ মানুষ কোনো দিন দেখেনি, চিনেও না। অতিথি পাখির মতো ৫ বছর পর পর নির্বাচনের আগে তাদের ফেস্টুন-ব্যানার গাছে ঝুলে থাকে। তবে স্থানীয় আ.লীগের দাবি, তৃণমূলে যে নেতার পদচারণা বেশি, তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে আ. লীগ জিতবে।

এদিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপিপন্থি লোক বেশি। বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দিলে তাকে পরাজিত করে এ আসনটি দখল করে নেয়ার মতো অন্য কোনো শক্ত প্রার্থী নেই বলে মনে করছেন দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।

ঝালকাঠি-১ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণা ও জনসমর্থন বেশি। এ দুই দল নির্বাচনে আসলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষ।

ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-নলছিটি) : ঝালকাঠি জেলার দুটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি-২ আসন গঠিত। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র, সাবেক শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু (বর্তমান এমপি), আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মিল্লাত হোসেন।

বিএনপি থেকে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (সাবেক এমপি), বিএনপি হাই কমান্ডের ঘনিষ্ঠজন ডা. জিয়া উদ্দিন হায়দার স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আমিনা খান ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন। জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এম এ কুদ্দুস খান, আলহাজ বজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন আনু ও ইঞ্জিনিয়ার তসলিম উদ্দিন মুনশী।

ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে আমির হোসেন আমু এমপি পরপর তিনবার জয়লাভ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করছেন এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।

এ কারণে আগামী নির্বাচনে তার জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী দলীয় নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আমির হোসেন আমুর বিপরীতে বিএনপিতে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোই শক্ত প্রার্থী। তারা দুজনে নির্বাচনে আসলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে মনে করেন দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। তবে এবার বয়স্ক নেতাদের বাদ দিয়ে অনেক আসনে তরুণ নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। সে হিসেবে এখানে মনোনয়ন পেতে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠজন গোলাম রাব্বানি চিনু।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, দেশের উন্নয়ন দেখে মানুষ এবারো স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দেবে। আমাদের দুটি সংসদীয় আসনে গত ১৫ বছরে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পর এই প্রথম। জননেতা আমির হোসেন আমু জাতীয় নেতা হয়েও তৃণমূলের মানুষের কাছে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের মানুষ এখন নৌকা প্রতীককে হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমিও দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করছি। দলের সভানেত্রী আমাকে যদি ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন দেয় তাহলে আসনটি আমি নেত্রীকে উপহার দিতে পারবো।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন আগামী নির্বাচন এবং সম্ভাব্য প্রার্থিতা নিয়ে বলেন, দল আপাতত নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না। আমরা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আন্দোলন করছি। এ আসনে যারা বিগত দিনে এমপি ছিল বা বর্তমানে এমপি প্রার্থী হিসেবে নাম প্রচার করছে তারা কেউ দলীয় কর্মসূচি বা আন্দলন-সংগ্রামে নেই। আমি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কর্মসূচি সফল করেছি। মামলা হামলার শিকার হয়েছি। দেশে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় এবং দল যদি অংশ নেয় তাহলে আমি প্রার্থী হবো। নমিনেশন বিষয়ে দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।