পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে দুই শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। সেইসব স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষক। তিনিও প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ৯৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর এ সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার ২৬৭ জন।
ওইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক বেশীর ভাগ সময়ই প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় যথাযথভাবে পাঠদান করাতে পারেন না।
ফলে একদিকে যেমন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে শিশুদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
প্রধান শিক্ষক সংকটের ব্যাপারে সদর উপজেলার খানাকুনীয়ারি ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমাদের যোগদান করা বাধ্যতামূলক। তাই বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করার কারণে আমার নির্ধারিত ক্লাস অন্য শিক্ষককে দিয়ে নিতে হয়। মাঝে মধ্যে হয়তো দু’ একটি ক্লাস বাদ যায়। তবে সেটি মাঝেমধ্যে। প্রধান শিক্ষকের সংকট সমাধান হলে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, বেশ কিছু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় এ পদগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে পদ পূরণে তারা পদোন্নতির বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশের অপেক্ষায় আছেন। শূন্য পদগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন।