ডেস্ক রিপোর্ট : দিনাজপুরের বিরামপুরে মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীতে দেখতে তার বাড়িতে আশ পাশের গ্রামের মানুষের ঢল নেমেছে।
বিরামপুর উপজেলার চতুরপুর ডিএস দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমা আক্তার লীমা। সে জোতবানি ইউনিয়নের কসবা সাগরপুর গ্রামের মোহাম্মদ কমর আলীর মেয়ে।
গত মঙ্গলবার রাতে তার নিজের মধ্যে শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পেলে সে তার মাকে জানায়। মা পিয়ারা বেগম এবং তার দাদি দেখে পরিবারের অন্য সদস্যদের বলেন।
লীমার বাবা কমর আলী বলেন, মেয়ের কথা শুনে তার স্ত্রী ও তার মাকে দেখতে বলেন। তারা দেখে বলেন যে তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে। এমন কেন হয়েছে মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া এটি বলা সম্ভব নয়। যেহেতু আল্লাহ এরকম করেছেন এখানে তাদের কোনো হাত নেই । তার ইচ্ছে সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো কিছু করার যাতে সমাজের মানুষ কিছু বলতে না পারে।
নাইমা আক্তার লীমা বলেন, যেহেতু আমি এরকম হয়েছি আমার কিংবা আমার পরিবারের এখানে কোনো হাত নেই, আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাব, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে আমি একজন ভালো শিক্ষক হতে চাই, এটিই আমার স্বপ্ন!
চতুরপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার সুপারিটেনডেন্ট আব্দুর রশিদ বলেন, আমি লোকমুখে শুনেছি আমাদের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর শারীরিক পরিবর্তন তথা মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে, যেহেতু আজকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে আগামীকাল রবিবার মাদরাসায় গিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।
লোকমুখে কথাটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশী ও অন্যান্য গ্রামের লোকজন দেখতে তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। উপজেলা ট্যাগরা তকিপুর থেকে রহিমা বেগম এসেছেন বাবার বাড়িতে বেড়াতে। কোথায় গিয়েছিলেন জিজ্ঞেস করতেই বললেন, শুনলাম একটি মেয়ে ছেলে হয়েছে সেটি দেখতে গিয়েছিলাম পাশের গ্রামে ।
জোতবানি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার দছির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি লোক মুখে শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক লোকের সমাগম হয়েছে। আমি তাদেরকে সচেতন করে বলেছি তাকে যেন কেউ বিরক্ত না করে। তার পরিবারকে বলেছি তার দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে।