রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দশমিক ৩ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পটি উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান এবং চীনেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৪ দশমিক ২ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।
ভূমিকম্পের সময় যা করবেন-
১. ভূমিকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।
২. ভূমিকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না।
৩. বিল্ডিংয়ের কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন।
৪. রান্না ঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।
৫. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে শিশুদের স্কুল ব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বলুন।
৭. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়া চড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলা বালি শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
৮. গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দু’হাত মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।
৯. ওপরতলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
১০. একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।
১১. গাড়িতে থাকলে ওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূমিকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন।
১২. কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
১৩. বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করুন।
১৪. ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।