ঢাকাশুক্রবার , ১০ নভেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

সবজি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উজিরপুরের লাল শাপলা

নিজস্ব প্রতিবেদন
নভেম্বর ১০, ২০২৩ ১২:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এইচ.এম.এ রাতুল : বরিশাল জেলার উজিরপুরের সাতলা বিল লাল শাপলার কারণে সমগ্র দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি পেয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ বিলে প্রাকৃতিকভাবেই ফোটে লাল শাপলা। সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই শাপলার সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। যা দেখতে দেশের বহু প্রান্ত থেকে অনেক ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন। ইদানিং এ বিলের লাল শাপলা সৌন্দর্যের পাশাপাশি এখন খাবারের মেনুতে সবজি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বর্ষা মৌশুমের শেষের দিকে এ বিলের বিশাল জলমগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো লাল শাপলা এখন বরিশালের গ্রামগঞ্জের হাট বাজার শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে নিয়মিত সবজি হিসবে বিক্রি হতে দেখা যায়। রীতিমতো বানিজ্যিকভাবে শাপলা তুলে বিক্রির মাধ্যম মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জিবিকা নির্বাহের কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে অবাধে শাপলা নিধন করায় বিলুপ্ত প্রজাতির এ লাল শাপলা টিকিয়ে রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সূত্রমতে, সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং এ শাপলা সবজি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন প্রাচীন কাল থেকে শুরু হয়েছে। চাষাবাদ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো শাপলা দূর্ভিক্ষের সময় পরিপূরক খাদ্য হিসেবে মানুষের জীবন বাচাতে সাহায্য করে। এছাড়া বহুবিধ ঔষধি গুনে সমৃদ্ধ শাপলা গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষের কাছে পরিচিত। বসন্তের প্রথম থেকেই জলমগ্ন পুকুর ডোবা বিলের পানিতে জন্ম নিতে শুরু করে পুরো বর্ষা মৌসুমে সাদা শাপলার ফুল ফোটে। কিন্তু লাল শাপলা বর্ষা মৌসুমের শেষে শরৎকাল পর্যন্ত ফুল ফুটতে দেখা যায়। তাই সাদা শাপলা শেষ হবার পরেও লাল শাপলা টিকে থাকায় এখন নিয়মিত খাবারের তালিকায় সবজিতে লাল শাপলার কদর বেড়ে গেছে।

বরিশাল নগরীতে শাপলা নিয়ে আসা বিক্রেতা হানিফ জানান, ভরা মৌসুমে লাল শাপলা তেমন একটা উঠানো হয়না। তবে বর্ষার শেষের দিকে তার মতো অনেকেই এ শাপলা তুলে বিক্রি করে থাকেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতিদিন শাপলা বিক্রি করে তার ৪ থেকে ৫শ’ টাকা আয় হয়।

উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কপিল বিশ্বাস বলেন, ক্যালসিয়াম জিংক আয়রন সোডিয়াম লাল ও সাদা শাপলায় সমান গুনে সমৃদ্ধ। বর্ষা মৌসুমে শাপলা বেশি দেখা গেলেও সাড়া বছরই বিভিন্ন ধরনের শাপলা পানিতে জন্মায়। তবে উজিরপুরের নিন্মাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমানে সাদা শাপলার পাশাপাশি লাল শাপলা জন্ম নিতে দেখা যায়। মৌসুমে লাল শাপলার বিলে নিয়মিত দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। তবে বিস্তৃত ভুমিতে জন্মানো লাল শাপলার আবাদ গত কয়েক বছরের তুলনায় কমে গেছে কারন স্থানীয়রা ভুমিতে এখন ঘের কেটে মাছ চাষ করছে। ফলে ওই সব ভুমিতে শাপলা জন্মায় না এবং অবাধে শাপলা নিধন করা হচ্ছে। বিলুপ্ত প্রজাতির লাল শাপলা ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।