নিজস্ব প্রতিবেদক : “জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস” উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে ২০২৪ ইং তারিখ) র্যালী, বিশেষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।
বেলা ১২টায় উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিএম নাজিমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সুদীপ কুমার হালদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এইচ এম সায়েম, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, শেবাচিম হাসপাতালের ইনডোর ডাক্টরস্ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আশিক দত্ত, ডা. মোকলেছুর রহমান সোহাগ ও সেবাতত্ত্ববাধয়ক সাহিদা আক্তার প্রমুখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম‘র নেতৃত্যে আজ বেলা ১২ টায় হাসপাতাল কম্পাউন্ডে র্যালী বের করা হয়। র্যালী শেষে বিশেষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালত হয়। এতে অংশ নেন হাসপাতালের সর্বস্থরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। পরে হাসপাতাল চত্বরে আম, নিম, আমলকী, বহেরা, বেল, জামগাছ সহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি ও ফলজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের এইদিনে কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোডে প্রবাসী সরকারের কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের (মুজিব নগর সরকার) প্রথম অধিদপ্তর হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭১ সালের এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে দেশমাতৃকার বীর সেনানি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদান, শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মহান ব্রত নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু, সেই থেকে অবিরাম পথচলা শুরু হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই সোনালী দিনের স্মৃতিকে চির অম্লান ও স্মরণীয় করে রাখতে আজ ২ মে ২য় বারের মতো সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পালিত হলো “স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস”। এ বছর দিবসটিতে র্যালী, বিশেষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের দায়িত্ব নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদান, শরণার্থী শিবিরে সেবা প্রদানের পাশাপাশি সম্মুখ সমরে সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়। তাই ২০২২ সাল থেকে ২ মে প্রথম বারের মতো “স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস” হিসেবে পালিত হয়।