ঢাকারবিবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি, সুখেই আছি : রবিজুল

নিজস্ব প্রতিবেদন
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ ১:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯) নামের এক যুবক ৭ স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন। এক ছাদের নিচে থাকলেও স্ত্রীদের মধ্যে নেই ঝগড়া-বিবাদ। মায়ের মানত পূরণ করতেই সাতটি বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন। দুই বছর আগে আসেন দেশে। লিবিয়াতে থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর একে একে আরও ছয় নারীর সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।

তার স্ত্রীরা হলেন—কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

একাধিক বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন। মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি।’

স্ত্রীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। তারা সারাদিন একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।’

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রথম রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে। এরপর ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। মাস চারেক আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে।

রবিজুলের স্ত্রীরা বলেন, তারা সাত বোনের মতো। সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করেন। সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। তারা জেনে-শুনেই বিয়ে করেছেন। স্বামী এমন কিছু করেন না—যাতে তাদের মন খারাপ হবে। এভাবেই তারা সংসার চালিয়ে যেতে চান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।