ডেস্ক রিপোর্ট: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে বেনামে চিঠি লিখেছেন এক ব্যক্তি। যে চিঠিতে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় দানবাক্সের টাকাগুলোর সঙ্গে বেশকিছু চিঠি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি চিঠিতে নামপরিচয় বিহীন একজন লিখেছেন- ‘আল্লাহ শেখ হাসিনাকে তুমি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও, আমিন।’
এছাড়া আরেকটি চিঠিতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাক্ষাতের মনোবাসনা পূরণের আশায় চিঠি লিখেছেন এক ব্যক্তি।
যেখানে তিনি লিখেছে- ‘১২ বছর ধরে আমার এই কষ্ট শুধু কুফরি জ্বালা। যারা আমারে এই কষ্টে জ্বালায়ছে, আমি তোমার কাছে তাদের বিচার চাই না। বিনিময়ে আমার নামাজের সোওয়াব তাদেরকে দিয়ে দিও। আমি মানুষের ক্ষতি করতে চাই না। আমি শুধু তোমাকে চাই আল্লাহ। তুমি আমার আল্লাহ। আমার জীবনের ইসলামের নায়ক মিজানুর রহমান আজহারী। আল্লাহ আমার মরণের আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত চাই।’
কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবারও দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ৩৫০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।