নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১৩ অক্টোবর রোববার, সকাল সাড়ে নয়টায় বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনটি হাসপাতালের পূর্ব পাশের গুদামে লেগেছিল, যেখানে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী রাখা ছিল। এ ঘটনায় আতঙ্কিত রোগী ও স্বজনরা দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।
তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার সাথে সাথে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আগুন নিভানোর চেষ্টা শুরু করেন। তাঁরা পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত ফোন করেন। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জের রেঞ্জ কমান্ডার মোঃ আসাদুজ্জামান গনীর নির্দেশে আনসার সদস্যরা আটকে পড়া রোগীদের উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেন। উদ্ধারের সময় অক্সিজেন লাগানো এক রোগীকে চতুর্থ তলা থেকে নামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে মোঃ আঃ সাত্তার (৪০) নামে একজন আনসার সদস্য অতিরিক্ত ধোয়ার কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁকে অন্য আনসার সদস্যরা উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনটির ভেতরের অংশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এই স্থানটি হাসপাতালের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। তিনি আরও জানান, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং মেডিসিন ভবনের নিচতলা থেকে দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
অগ্নিকাণ্ডের সময় হাসপাতাল থেকে বের হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা আনসার সদস্যদের প্রশংসা করেন। তারা জানান, যদি আনসার সদস্যরা দ্রুত এগিয়ে না আসতেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরিশাল জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ নাহিদ হাসান জনি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং উদ্বার কাজে অংশগ্রহণকারী আহত আনসার সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবে।”
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।