মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় বাড়ির রংয়ের কাজ করতে গিয়ে আইপিএস কারেন্টের শক খেয়ে রং মিস্ত্রির মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৪ টায় তহশিলদার রুবিনা বেগমের হাজিরহাট ইউনিয়নের উপজেলা পরিষদের দীঘির সামনের বাড়িতে রংয়ের কাজ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। তিনি (রুবিনা বেগম) উপজেলা ভূমি অফিসের ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের তহশিলদারের দায়িত্বে রয়েছেন।
কারেন্টের শক খেয়ে মৃত্যু হওয়া মেস্তুরী হলেন, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ (২৬)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরু মাঝির ছেলে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে তহশিলদারের পক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের সাথে পুলিশের সমঝোতার পর মৃত হওয়া রং মেস্তুরীর মরদেহ ময়নাতদন্ত না করেই হস্তান্তর করে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি নাম না প্রকাশ শর্তে জানান, মনপুরায় মার্ডার বা যে কোন ঘটনায় মানুষ মারা গেলে থানায় মামলা হয় না। পুলিশের সাথে সমঝোতা করে শালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। কারেন্টে শক খেয়ে মৃত্যু হওয়া রং মিস্ত্রির বিষয়টিও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রং মিস্ত্রির পরিবারের ময়নাতদন্ত না করার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তবে এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
জানা যায়, সোমবার তহশিলদার রুবিনা বাসায় রংয়ের কাজ করছিল রং মিস্ত্রি সোহাগ। পরে দুপুর বেলায় আইপিএস কারেন্ট চালু করে তহশিলদার রুবিনা। এই সময় রং কাজ করা অবস্থায় ওই আইপিএস এর কারেন্টের শক খেয়ে নিচে পড়ে যায় রং মেস্তুরী সোহাগ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বেথাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিবগাতুল ইসমলাম মৃত ঘোষনা করে। পরে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে শুরু হয় পুলিশের সাথে তহশিলদারে পক্ষ নেওয়া প্রভাবশালী মহলের তদবির।
এব্যাপারে মনপুরা হাসপাতালের দায়িত্বেথাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিবগাতুল ইসলাম জানান, কারেন্টের শক খাওয়া ব্যাক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বে মৃত্যু হয়।
তহশিলদার রুবিনা বেগম ও রং মিস্ত্রির পরিবারের সাথে আলাপ করার দীর্ঘক্ষণ চেষ্ঠার পরও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এব্যাপারে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, রং মিস্ত্রির আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা তাই থানায় গিয়েছি। পরে ওসির কাছে রং মিস্ত্রির পরিবার ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করলে পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করে।