ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ১১ ইউপি সদস্য।
রোববার (২০ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে এ অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিষদের সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু। অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনাস্থা প্রস্তাবে সই দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন- মো. বাবুল আকন, বাচ্চু মিয়া, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মো. মোস্তফা কামাল হাওলাদার, আবুল কালাম তালুকদার, মো. আতিকুর রহমান পিন্টু, খালেক ব্যাপারী, আনোয়ার হোসেন, মো. শামীম আলম, মোসাম্মৎ আঁখি বেগম দুলু এবং বেবি বেগম।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির ১৫টি অভিযোগ এনে তার বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইউপির ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ জনই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১-১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে তার আত্মীয় পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এবং মামুনকে বসিয়েছেন।
নির্বাচনের পর দেড় বছর পার হলেও প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের কোনো সদস্যদের সামনে তিনি খোলেন না। পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগ দেওয়া নাজমুল আলমকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
ট্যাক্সের রশিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিবের কাছে প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান নিজে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাজস্ব আয়ে না দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। ট্রেড লাইসেন্সের বই ইচ্ছামতো ছাপিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইনে করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা করে নিয়েছেন। গত ১২ জুন বরাদ্দ এক টন চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।
পরিষদের সব সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেন উল্লেখ করে অনাস্থায় অন্য সদস্যরা বলেছেন, সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিকভাবে বণ্টন করেন না তিনি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করেন। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ১১ ইউপি সদস্য।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এসব অভিযোগ করা হয়েছে।