ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনী আচরণবিধি তদারকিতে মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত দেশব্যাপী এই তদারকি চলবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং প্রচারণা পর্যবেক্ষণে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই প্রতিটি উপজেলা ও থানায় কমপক্ষে দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আচরণবিধির বাস্তবায়ন কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ, আইন ভঙ্গের তাৎক্ষণিক বিচার, প্রচারণার নিয়ম মানা, মাইক ব্যবহার, পোস্টার–ব্যানার ঝুলানো এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ন্যায়সংগত প্রতিযোগিতা বজায় রাখাও তাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। তার ঘোষণামতে, ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ ইতোমধ্যে গতি পেয়েছে এবং প্রশাসনও মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা এবার বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসি।
