ঢাকারবিবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বরিশালে পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তি, ধূম্রজাল

নিজস্ব প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে জাপা ও শ্রমিকলীগ নেতার পিস্তল নিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় একের পর এক ভিডিও ফাঁস হচ্ছে। প্রথমে ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও ফাঁস হলেও এবারে ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ভিডিওটি বরিশাল নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম মুরতজা আবেদীনের মোবাইল থেকেই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।

ভূমি অফিস থেকে বের হওয়ার আগে থেকে শুরু হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট একেএম মুরতজা আবেদীন ভূমি অফিসের ভবনের ফটক থেকে বের হওয়ার সময় বামপাশে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না ও তার সহযোগীরা দাড়িয়ে থাকতে দেখেন। তিনি ভূমি অফিসের সামনের সড়কে গিয়ে অটোরিক্সা ঠিক করার সময় মান্না ও তার লোকজন পেছন থেকে তার কাছে আসে।

এসময় মান্নাকে উদ্দেশ্য করে মুরতজা জিজ্ঞাসা করেন ভালো আছো-তখন মান্না বলেন কেডা? তখন মুরতজা আবার বলেন তোরে জিগাই তোরে। এরপর মান্না কিছু একটা বলতে থাকেন আর মুরতজা বেশ কয়েকবার “ঠিকআছে ঠিকআছে” বলে লঞ্চঘাটের দিকে এগুচ্ছিলেন আর অটোরিক্সা ভাড়া নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিছুসময় বাদে মান্না পেছন থেকে এসে মর্তুজাকে বলেন বেয়াদপি করলি ক্যা? ওই সময় মুরতজা বলেন- কি বেয়াদপি করছি? এলাকার ছোট ভাই, ভাইর পোলা হিসেবে বলতে পারি না? তখন মান্না গালি দিয়ে বলেন কিসের ভাইর পোলা তুই আমার বউ বাচ্চারে মারছো। তখন বিস্ময়ের সূরে মুরতজা বলেন আমি মারছি, আর মান্না বলেন- তুই নিজে মারছো। তারপর মুরতজা মান্নাকে বলেন, এখন আমাকে মারবি মার। ওইসময় মান্না পাশের কাউকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি কি কইছি ওরে আমি মারমু। এরপরই মান্না বেশ কয়েকবার বলতে থাকেন- কান মইল্লা দিমু, আর এই বলতে বলতে মান্না মুরতজার দিকে তেরে যান, আর তখনই মুরতজা চিৎকার শুরু করেন। আর এসময় মান্নাকেও বলতে শোনা যায়, আমাকে মারার জন্য পিস্তল বাইর করছে, ধর ধর, ভিডিও কর, ভিডিও কর।

পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তির পর সেটি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করলে মান্না ও তার অপর এক সহযোগী অটোরিক্সায় কাউন্সিলর মুরতজাকে নিয়ে অবস্থান করেন। এসময় মুরতজা বলেন, আমাকে মারতাছে। আর মান্না গালি দিয়ে বলেন, তুই আমারে মারতে চাইছো আমি তোরে ধরছি। এরপর দীর্ঘ সময় ধস্তাধস্তির দৃশ্য দেখা যায়। যেখানে মুরতজার চেহারা না দেখা গেলেও চিৎকার শোনা যায়, আর মান্না বার বার বলছে তুই আমাকে মারতে চাও। তুই অস্ত্র বাইর করছো আমারে মারার লইগ্যা। আর এসময় উভয়ই বার বার পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে চিৎকার করেণ।

শেষ দিকে এসে মুরতজা বার বার মান্নাকে উদ্দেশ্য করে বার বার বলেন, তুই আমারে মারছো। মার মার মার। তুই অনেক মারছো, বহুত মানুষরে মারছো। আর মান্না বলেন, তুই আমারে মারার লইগ্যা আগে অস্ত্র বাহির করছো, এখানে সব লোক দেখছে। এর কিছুসময় পর দীর্ঘ সময় ভিডিওতে কিছু না দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মর্তুলর মুরতজা আবেদীন জানান, হামলা হ‌তে পা‌রে সেটা আন্দাজ কর‌তে পে‌রে‌ ভূমি অফিস থেকেই মোবাইলের ভিডিও অন করে রেখেছিলেন তিনি। মান্না ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা করার পাশাপাশি লাইসেন্স করা পিস্তলটি ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি তার। আর ওই সময় তাকে কয়েক দফায় মারধর করা হয়। নিজের করা ভিডিওতে সবকিছুর সত্য প্রকাশ পাবে দাবি করে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

যদিও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না জানান, পারিবারিক জমি জমার কাজে ভূমি অফিসে গিয়ে ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদিনের সাথে দেখা হয় তার। এরপর হঠাৎ তাদের দুজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য হয়, যার একপর্যায়ে কাউন্সিলর মুরতজা তাকে গুলি করার জন্য পিস্তল বের করে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মর্তুজার বিপক্ষে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তার উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন মান্না। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

এদিকে এ ঘটনার আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা কাউন্সিলর মুরতজাকে নিয়ে যখন থানায় যাচ্ছিলেন তখন মান্নার লোকজনের সাথে ধাক্কাধাক্কি বেধে যায় থানা পুলিশের সদস্যদের। এসময় থানা পুলিশের এসআই রাকিবসহ কয়েকজনে মিলে পরিস্থিত শান্ত করেন।

অপরদিকে ২ নম্বর ওয়া‌র্ডের বা‌সিন্দা সাইফুল ইসলাম ব‌লেন, মুরতজা আ‌াবেদী‌নের উপর হামলা প‌রিকল্পিত। কেননা মুরতজা নিজ বাসা থে‌কে বের হওয়ার পরপরই মান্না ও তার অনুসারীরা মুরতজার পিছু নি‌য়ে‌ছি‌লো। সি‌সি ক‌্যা‌মেরার ফু‌টেজ দেখ‌লে সব প‌রিষ্কার হ‌য়ে যা‌বে। আর ঘটনার প্রতক্ষদর্শী মান্নার অনুসারীররা বলছেন, ভাইকে গুলি করার জন্যই পিস্তল বের করে মুরতজা, আর সেটি ঠেকাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ হামিদুল আলম বলেন, ক্যামেরা ও মোবাইলে ধারন করা ভিডিও বিশ্লেষন করে কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম মর্তুজা আবেদীন ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্নার মধ্যে যা ঘটেছে, সেটি শুরু হয়েছিল কানমলার ঘটনা থেকে।

ঘটনাটির দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
একটি প্রথমে ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও ফাঁস হয়; পরে ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ঘুরে ফিরছে সামাজিকমাধ্যমে।

প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি বরিশাল নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদীনের মোবাইল থেকে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভূমি অফিস থেকে বের হওয়ার আগে থেকে শুরু হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদীন সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তার বাঁ পাশে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না ও তার সহযোগীরা দাঁড়িয়ে আছেন। মর্তুজা ভূমি অফিসের সামনের সড়কে গিয়ে অটো রিকশা ঠিক করার সময় মান্না ও তার লোকজন পেছন থেকে তার কাছে আসেন।

এ সময় মান্নাকে উদ্দেশ্য করে মর্তুজা জিজ্ঞাসা করেন, ভালো আছো? মান্না তখন বলেন, কেডা? মর্তুজা বলেন, তোরে জিগাই তোরে।

এরপর মান্না কিছু একটা বলতে থাকেন। মর্তুজা এ সময় বেশ কয়েকবার ঠিক আছে, ঠিক আছে বলে লঞ্চঘাটের দিকে এগিয়ে গিয়ে অটো রিকশা ঠিক করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে মান্না পেছন থেকে গিয়ে মর্তুজাকে বলেন, বেয়াদবি করলি ক্যা? মর্তুজা বলেন- কি বেয়াদবি করছি? এলাকার ছোট ভাই, ভাইর পোলা হিসেবে বলতে পারি না?

তখন মান্না গালি দিয়ে বলেন, কিসের ভাইর পোলা তুই আমার বউ বাচ্চারে মারছো। তখন বিস্ময় প্রকাশ করে মর্তুজা বলেন, আমি মারছি? মান্না বলেন, তুই নিজে মারছো।

এরপর মর্তুজা বলেন, এখন আমাকে মারবি মার। এ সময় মান্না পাশের কাউকে প্রশ্ন করেন, আমি কি কইছি ওরে আমি মারমু? এরপরই মান্না বেশ কয়েকবার বলতে থাকেন- কান মইল্লা দিমু। তারপর মর্তুজার দিকে তেড়ে যান তিনি। তখনই মর্তুজা চিৎকার শুরু করেন। এসময় মান্নাও বলতে শুরু করেন, আমাকে মারার জন্য পিস্তল বাইর করছে, ধর ধর, ভিডিও কর, ভিডিও কর।

এ সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মর্তুজা হাতে পিস্তল হাতে নেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এসে সেটি নিয়ে নেন। কিন্তু মান্না ও তার অপর এক সহযোগী একটি অটো রিকশায় কাউন্সিলর মর্তুজাকে নিয়ে অবস্থান করেন। দুজনের মধ্যে আবার তর্ক শুরু হয়। মর্তুজা বলেন, আমাকে মারতাছে। মান্না গালি দিয়ে বলেন, তুই আমারে মারতে চাইছো, আমি তোরে ধরছি। আবার তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

ভিডিওতে এ সময় মর্তুজার চেহারা না দেখা গেলেও চিৎকার শোনা যায়। মান্না তখন বার বার বলতে থাকেন, তুই আমাকে মারতে চাও। তুই অস্ত্র বাইর করছো আমারে মারার লইগ্যা। পরে দুজনই পুলিশের সাহায্য কামনা করে চিৎকার করতে থাকেন।

ভিডিওর শেষ দিকে দেখা যায়, মর্তুজা বার বার মান্নাকে উদ্দেশ্য করে বার বার বলেন, তুই আমারে মারছো। মার মার মার। তুই অনেক মারছো, বহুত মানুষরে মারছো। মান্না বলেন, তুই আমারে মারার লইগ্যা আগে অস্ত্র বাহির করছো, এখানে সব লোক দেখছে।

পরে কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, হামলা হ‌তে পা‌রে আন্দাজ কর‌তে পে‌রে‌ ভূমি অফিস থেকেই মোবাইলের ভিডিও অন করে রেখেছিলেন তিনি। মান্না ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করার পাশাপাশি লাইসেন্স করা পিস্তলটি ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তার নিজের করা ভিডিওতে সত্য প্রকাশ পাবে দাবি করে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার দাবি করেন তিনি।

মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না এ ব্যাপারে বলেন, পারিবারিক জমি জমার কাজে ভূমি অফিসে গিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর হঠাৎ দুজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য হয়। একপর্যায়ে কাউন্সিলর মর্তুজা তাকে গুলি করার জন্য পিস্তল বের করেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মর্তুজার বিপক্ষে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন মান্না। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এদিকে এ ঘটনার আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা কাউন্সিলর মর্তুজাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন মান্নার লোকজনের সঙ্গে পুলিশের সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এসময় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবসহ কয়েকজনে মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হামিদুল আলম বলেন, ক্যামেরা ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও বিশ্লেষণ করে কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনা নিয়ে দুপুর থেকে চলছে বেশ কানাঘুষা। সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।