ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একসময় আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। এখন আওয়ামী লীগ’ই তত্বাবধায়ক সরকার দিতে ভয় পায়। কারন তাদের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কিন্তু জনগণ এবার সেই সুযোগ দিবে না, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারুন্যের রোড মার্চে নওগাঁয় সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শহরের বাইপাস বরুনকান্দি এলাকায় এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রকামী সমস্ত জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির মাধ্যমে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা। তারা মামলা ও জেলের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মী আর মামলার ভয় করে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী দিনে যে সব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেই সব আন্দোলনে সাধারণ জনগণকে সাথে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাবার লড়াই। এই লড়াই জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।
পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর এইবার বাংলাদেশের জনগণের সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতেই হবে।বাংলাদেশের জনগণ কখনও হারেনি, এবারেও হারবে না। এবারের বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে চায়। পাকিস্তানি দখলদারদের বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে পরাজিত করেছে, এই দখলদারদেরও তাঁরা পরাজিত করবে।
এসময় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে ধলু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রোড মার্চটি আব্দুল জলিল চত্বর, মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় ও মান্দার ফেরিঘাটে হয়ে রাজশাহীর পথে রওনা দেন।