নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে আদালতের স্থিতাবস্থা জারিকৃত বিরোধীয় জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত রবিবার টুঙ্গিবাড়িয়া কাজলাকাঠি ও বারৈকান্দি এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার রাতে বিষয়টি জানা যায়।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। আদালতের আদেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিবাদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
মামলার বিবাদীরা হলেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়ায় সাবেক জে.এল ৭৮ তথা বিএস, জে.এল ১৩০ নং বারৈকান্দি মৌজার এস.এ ১৭২, ২১৮ নং খতিয়ানের ৬১৫, ৬১৫/৯১২ নং দাগের দশমিক ৩৮ একর তথা বিএস চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১নং খতিয়ানের বি.এস. হাল ১৩২৫ নং দাগের দশমিক ০৪ একর এবং বি.এস. হাল ১৩২৯নং দাগের দশমিক ৩৪ একর, দশমিক ৩৮ একর ভূমি আদালতের স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত সম্পত্তির জন্য দেওয়ানী মামলা করে বাদী পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর আসামিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত। তবে আসামিরা সেই শোকজের জবাব দেননি। এরপর চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল আসামিদের আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত দুই পক্ষকে স্ব স্ব দখল ও ব্যবহার অনুসারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তী সময়ে গত ২৬ জুলাই আসামিরা আদালতে আপত্তি দাখিল করেন। তখন আদালত দুই তরফা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত ১৩ আগস্ট বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় বাদীপক্ষ আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়টি জানায়। তখন তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করে আসামিপক্ষ। তাই আদালতে মামলা করে এ বিষয়ে সুবিচার চেয়েছে বাদী পক্ষ।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ১৩ আগস্ট আমাদের কোনো কাজ শুরু হয়নি। টুঙ্গিবাড়িয়ায় আমাদের দুটি কাজ চলমান রয়েছে। যা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ইতোপূর্বে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল সেটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে আদালতের কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি, এমনকি কোনো ব্যক্তিও আমাদের কাছে আসেনি। আদালতের আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।