স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে যখন তার নাম ঘোষণা করা হয়, তখন তিনি দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছিলেন। কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের পর শ্রীলঙ্কায় যান লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলতে। সেখান থেকে দুবাই গিয়ে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন করেন। ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার পর গতকাল সোমবারই তিনি দেশের মাটিতে পা রাখেন।
এদিকে মিরপুরে চলছে এশিয়া কাপের ক্যাম্প। কিন্তু সাকিবের সেই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার সময় কোথায়?
গতকাল দেশে ফিরে আজ মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে বরিশাল যান। সেখানে বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ এবং রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আবার ঢাকায় ফেরেন। এখানেই শেষ নয়, রাজধানীতে ফিরে মঙ্গলবার বিকেলে রামপুরায় একটি কম্পানির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বাণিজ্যিক কাজে সাকিবের এই ব্যস্ততা নতুন কিছু নয়। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে নিয়মিতই এসব ব্যস্ততা সামলাতে হয়। কিন্তু কী করে সব সামাল দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার?
আজ রামপুরায় বাণিজ্যিক কাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলেছেন সাকিব। নিজের এই ব্যস্ত জীবন সামালানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়।
যেহেতু সময় খুব বেশি নেই। এই অল্প সময়ে সব কিছু ম্যানেজ করার একটা উপায় বের করতে হয়। তবে এই ব্যস্ততা ভালোই লাগে।’
আর কয়েক দিন পরই এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মাটিতেই ম্যাচ খেলতে হবে সাকিবদের।
সদ্যই শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলে আসা সাকিব এলপিএলের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ আমাদের জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠ সম্পর্কে ধারণা হলো, ওদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও ধারণা পেলাম। সেদিক থেকে ভালোই হলো।’
পাশাপাশি সাকিব এটাও মনে করিয়ে দেন, এই ব্যস্ত সময়ে ফিট থাকাটা জরুরি। ইতিমধ্যে ইনজুরিতে এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে গেছেন পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরী। সামনেই আছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আর বিশ্বকাপ। তাই সাকিব চোটমুক্ত থাকার ওপর জোর দেন, ‘যেহেতু সামনে আমাদের সিরিজ ও বড় টুর্নামেন্ট আছে। চেষ্টা করছি যতটা ফিট থাকা যায়। এখন ফিট থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর খেলা থাকলে চোটে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।’