নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা ও জল্পনার অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোট ৩৬টি আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে বরিশাল-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
ঘোষণা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালে তার অনুসারীসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় কার্যালয় ও বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ, শোভাযাত্রা ও আনন্দ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির কারণ ছিল শরিকদের দাবিদাওয়া। প্রথম দফার ঘোষণায় বরিশাল বিভাগের পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিলেও বরিশাল-৩ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এবি পার্টি বা সমমনা দলকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে স্থানীয় নেতারা স্পষ্টভাবে জানান—এটি বরিশাল অঞ্চলে ধানের শীষের শক্ত ঘাঁটি, এখানে শরিককে আসন দিলে বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে।
এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বেগম সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং আব্দুস সাত্তার খান। অন্যদিকে এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নামও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের মতে, নতুন প্রতীক প্রচারণা শুরু করতে সময় লেগে যাবে এবং নির্বাচনী মাঠ দুর্বল হয়ে পড়বে।
এদিকে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ইতোমধ্যে প্রচারণায় নেমে যাওয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরে চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিজ্ঞ নেতা জয়নুল আবেদীনকে প্রার্থী করায় বরিশাল-৩ আসনে বিএনপি নতুন করে সংগঠিত হবে এবং ধানের শীষ আবারও ভোটযুদ্ধে শক্ত অবস্থানে ফিরে আসতে পারে।
