ঢাকাসোমবার , ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগে আলোচনায় যাদের নাম

নিজস্ব প্রতিবেদন
ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের অবসরকে কেন্দ্র করে বিচারাঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা—কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী ২৬তম প্রধান বিচারপতি? আগামী ২৭ ডিসেম্বর তার অবসর কার্যকর হবে। তার আগে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের দিকে সবার নজর। সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করলেও দেশের বিচার বিভাগীয় রীতি, জ্যেষ্ঠতার নীতি এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতা—সব মিলিয়ে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই নাম—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

এই দুজন ছাড়াও বর্তমানে আপিল বিভাগে রয়েছেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ছয়জনই অভিজ্ঞ, দীর্ঘদিন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে জ্যেষ্ঠতা এবং অভিজ্ঞতার বিচারে প্রথম সারিতে রয়েছেন বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে—রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেবেন। অতীতে আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে আসছে। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঘটেছিল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তখন জনতার দাবিতে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ড. রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এটি ইতিহাসে এক ব্যতিক্রম।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন ব্যতিক্রমের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা। তাদের মতে এবার রীতিনীতির ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগ থেকেই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। এই প্রেক্ষাপটে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের প্রোফাইল বিচারাঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত। বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নুরুল ইসলামের সন্তান। তার মা একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি জাহানারা আরজু। পরিবারগত ঐতিহ্যের পাশাপাশি তিনি নিজেও দীর্ঘ চার দশকের ক্যারিয়ারে আইন পেশায় গভীর অবদান রেখেছেন। ১৯৮৩ সালে জেলার আদালতে আইনজীবী হয়ে যাত্রা শুরু, পরে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক এবং পরে স্থায়ী বিচারক। ২০২২ সালে তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীও আইন পেশায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতার অধিকারী। তার বাবা এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হন এবং পরবর্তীতে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে নিয়োগ পান।

তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিচারপতি রেজাউল হক, যিনি ১৯৮৪ সাল থেকে আইন পেশায় যুক্ত এবং ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এরপর ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে জায়গা করে নেন।

বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবও একইভাবে সমৃদ্ধ পেশাগত যাত্রা নিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের মতে, সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি চাইলে আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করতে পারেন।” তবে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছিল—জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে অগ্রাধিকার দেওয়াই উত্তম।

এখন দেশের বিচার বিভাগ এবং আইনাঙ্গনের একটাই প্রশ্ন—কার মাথায় উঠছে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতির মুকুট? সব বিশ্লেষণ শেষে আইনাঙ্গনের অভিমত—আশফাকুল ইসলাম অথবা জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এই দুইজনের একজনই হতে যাচ্ছেন নতুন প্রধান বিচারপতি।

সূত্র:ঢাকা পোস্ট

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।