আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস, কর্মসংস্থান এবং ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য ধনী বিদেশিদের আকর্ষণে ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার ট্রাম্প নিজের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, “মেধাবী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের জন্য গোল্ড ভিসা হলো একটি চমৎকার সুযোগ। মার্কিন কোম্পানিগুলো এর মাধ্যমে তাদের সেরা কর্মীদের ধরে রাখতে পারবে।”
কর্মসূচির কাঠামো অনুযায়ী, আবেদনকারীদের প্রথমে ট্রাম্পকার্ড ডট গভ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার সময় ১৫ হাজার ডলার ফি দিতে হবে। আবেদন অনুমোদন হলে আরও ১০ লাখ ডলার ‘উপহার’ হিসেবে জমা দিতে হবে, যা কার্যত বিশেষ চাঁদা হিসেবে বিবেচিত। ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এই ভিসার মর্যাদা মার্কিন গ্রিন কার্ডের সমান—অর্থাৎ ভিসাধারীরা স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করতে পারবেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় ট্রাম্প বলেন, “গোল্ড ভিসা আসলে উন্নত সংস্করণের গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে আদর্শ পথ।”
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক রয়টার্সকে জানান, প্রাক-নিবন্ধনের সময়েই প্রায় ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তাঁর ভাষায়, “এই কর্মসূচি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শত শত কোটি ডলার রাজস্ব এনে দেবে।”
ট্রাম্প প্রশাসন ২০ জানুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। নথিবিহীন হাজার হাজার অভিবাসী ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে নির্বাসিত হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে কঠোর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে ধনী বিদেশিদের বৈধ পথ—এই দুই পদক্ষেপ ট্রাম্প সরকারের অভিবাসন নীতিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য আনার কৌশল।
নতুন ভিসা চালুর পর আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
সূত্র : রয়টার্স
