নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন করি, পরিবেশ বান্ধব বিকল্প ব্যবহার করি ব্যবহার্য প্লাস্টিক-পলিথিন যত্রতত্র নিক্ষেপ থেকে বিরত থাকি, নির্দিষ্ট পাত্রে সংগ্রহ করি’ শীর্ষক সচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা অভিযান বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ‘বেলা’ বরিশালের আয়োজনে কীর্তনখোলা নদীর তীরভূমিতে (ডিসি ঘাটে) এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ বরিশালের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলার বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক লিঙ্কন বায়েন। আয়োজনের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও পরিবেশবিদ রফিকুল আলম।
লিঙ্কন বায়েন বলেন, ব্যবহারের পর আমরা যে প্লাস্টিক-পলিথিন যত্রতত্র ফেলে দেই তা মাটি ও পানিতে মিশে থাকে। দীর্ঘ সময় পরিবেশে অবস্থানের ফলে প্লাস্টিক দ্রব্যাদি মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয় এবং সরাসরি প্রাণীর খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। ফলে মানবজাতি ও প্রাণিকুল নানা ধরনের প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে সাগরে জীববৈচিত্র্যের দ্বিগুণ প্লাস্টিক-পলিথিনে সয়লাব হয়ে যাবে। সম্প্রতি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ইতালির বিজ্ঞানীরা মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক-পলিথিন উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে যতদ্রুত সম্ভব প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।
বক্তারা বলেন, স্বচ্ছ ও সুন্দর দেশ গড়তে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বছরের ৩৬৫ দিনই সবার অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
এরপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ভাটার খাল, সিটি মার্কেট ও লঞ্চঘাট এলাকায় পড়ে থাকা পলিথিন-প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়।