নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে নদ-নদীর পানি আবারও বেড়েছে। বুধবার বরিশাল বিভাগের ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের বুধবারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষনে দেখা যায়, বুধবার ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর পানি দৌলতখান উপজেলায় বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অপরদিকে, বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে,
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও আমতলীতে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে। চলতি ভাদ্র মাস এবং পূর্ণিমা আসন্ন হওয়ায় আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি।