ঢাকাবুধবার , ৯ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

দেশে অশান্তি চায় বিদেশিরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন
আগস্ট ৯, ২০২৩ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশি লোক আপনার (বাংলাদেশের মানুষ) মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। দেশ দুর্বল হলে তাদের অনেক সুবিধা হয়। তাই তারা দুর্বল করতে চায়। তাদের এই ভেলকিতে আপনারা অবগাহন করবেন না। দেশের উন্নয়ন দেশের লোক করবে, দেশের সরকার করবে। আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। অন্য কোনও বিদেশি কে কী বললো সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না, তার গুরুত্ব খুবই সামান্য। সরকার আছে, সরকার সেটা দেখবে।

তিনি বলেন, গত ৬ মাসে ৬০টি দেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আরও ২২টি দেশে নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ইউএন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএন ইউএসএ ডিপার্টমেন্টে, ইউএনএ তাদের প্রত্যেক দিন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে হয়। কিন্তু এই যে আমি শ’ খানেক নির্বাচনের কথা বললাম, তাদের নিয়ে কোনও কথা নেই। এসব দেশের মূল আলোচনার বিষয় হলো অর্থনীতি। আপনারা এসব নিয়ে কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি কীভাবে ধরে রাখা যায় সেদিকে আলোকপাত করা উচিত। দুনিয়ার অনেক জায়গায় ইলেকশন হয়, কিন্তু সেখানে ওইসব কথাবার্তা আসে না। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থা আলোচনা করলেই দেখা যাবে কী অবস্থা ছিল। তা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের জন্য কে উপযুক্ত। জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখলে আগামীতে আমরা কাকে নির্বাচিত করবো সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পথ আগলে রাখে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেসব দেশ উন্নত সেসব দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই তারা ইরাক, লিবিয়ার মতো মারামারি-কাটাকাটি করছে। আমরা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চাই। চাই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত দেশ রেখে যেতে।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশে নারী-পুরুষ কারও নিরাপত্তা ছিল না। যখন দেশে অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে, দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি-জামায়াত নির্বাচিত হয় তাহলে বাংলাদেশে আবারও ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলাসহ নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস, রাজনীতিক বাহাদুর বেপারি, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।