ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে মনে করছেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। রবিবার (২ অক্টোবর) দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
ড. কলিমউল্লাহ বলেন, ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, সেটা আসার সম্ভাবনা প্রবল। আর সেটা যদি আরোপ করেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তাহলে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার হয়ে যাবে এবং তার ফলে যে আপারেল বা আমাদের রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরটা সেটা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। ইতোমধ্যে আমাদের বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক (ফারুক হাসান) তিনি জানান দিয়েছেন, শতকরা ৩৩ ভাগ যে চাহিদা এটা কমে গেছে। অর্থাৎ অর্ডার সেই পরিমাণে আসছে না এবং একটা ঝুঁকি আছে এটি শূন্যের কোটায় চলে যাওয়ার।’
তিনি বলেন, ‘চিন্তা করে দেখেন কি পরিমাণ নারীশ্রমিক এই সেক্টরে কাজ করছেন, তারা এই করোনার সময় কেমন একটা হুটোপুটি শুরু করলেন, কেমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। তার ধারাবাহিকতায় যদি এবার এই অবস্থা ঘটে তাহলে আমি জাস্ট রিফ্রেশ করার জন্য, যদিও প্রতিতুলনা চলে না।’
জানিপপ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আবুল মাল আব্দুল মুহিত যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা শহরকে কেমন করে ফেলেছিল ওই ভ্যাটের প্রত্যাহারের দাবিতে। প্রাইভেট শিক্ষাখাতে ভ্যাট প্রত্যাহারে। সেই রকম একটা পরিস্থিতি বা সিনারিও আমরা কল্পনা করতে পারি যেটা দুঃস্বপ্নের মতো আমাদের কাছে।’
তিনি বলেন, ‘এর পাশাপাশি এসিইউ (আকু) পেমেন্টের সিস্টেমটা আমাদের এশিয়ান কান্ট্রিগুলোতে সেখানে আমরা বাকিতে পণ্য আমদানি করতে পারতাম। সেই জায়গাটাতে মার্কিনিরা এক ধরনের, ১৯৭৪ সালের যে আইন সেই আইন অনুসারে তাদের দাঁত বসিয়েছে। যার ফলে কি দাঁড়াচ্ছে, এমনকি আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমরা যদি কোনো পণ্য আমদানি করতে চাই আমাদের নগদে পেমেন্ট করতে হবে। বাকিতে আনার আর সুযোগ থাকল না।’
ড. কলিমউল্লাহ বলেন, ‘পুরো মনিটারি সিস্টেমে (মুদ্রা ব্যবস্থায়) কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর একটি অবস্থান আছে। সেইগুলো তারা যদি সম্মিলিতভাবে ব্যবহার শুরু করে, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হব।’
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক