ঢাকাসোমবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বরিশাল-৫: সাদিকের বৈধতায় টেনশন বাড়লো নৌকা সমর্থকদের!

নিজস্ব প্রতিবেদন
ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণার পরপরই আনন্দের আমেজ দেখা গেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। আর সাদিকের বৈধতায় নৌকার প্রার্থী সাবেক সেনা সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের টেনশন বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত সংসদ নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন সাদিক। এবার নির্বাচনে তিনি নিজে প্রার্থী এবং মহানগর আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের সিংহভাগই সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী।

এদিকে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সাদিক আবদুল্লাহর নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবীরা। সোমবার বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

সূত্রমতে, সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পরে দখিণের গুরুত্বপূর্ণ বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাদিক আবদুল্লাহ। কিন্তু দলের মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক আবদুল্লাহ। গত ৪ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে জাহিদ ফারুকের আইনজীবী নির্বাচন কমিশনে সাদিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি আপিল করেন সেই আপিলের শুনানিতে সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থীতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশন।

সূত্র বলছে, গত সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুকের বিজয়ের পেছনে মূল ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। কিন্তু জাহিদ ফারুক বিজয়ী হওয়ার পর থেকে নানা কারনে দুজনের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব৷ সবশেষ সিটি নির্বাচনে সাদিক আব্দুল্লাহকে মনোনয়ন না দিয়ে তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর সেই দ্বন্দ্ব রূপ নেয় প্রকাশ্যে। কারন জাহিদ ফারুক ও তার অনুসারীরা সমর্থন দেয় খোকন সেরনিয়াবাতকে। সেই থেকে বরিশাল আওয়ামী লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত যার একটির নেতৃত্বে জাহিদ ফারুক ও খোকন সেরনিয়াবাত এবং অপর অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ।

বরিশাল আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, সাদিক আব্দুল্লাহ কর্মী বান্ধব ও জনবান্ধব নেতা, তার কাছে সমস্যা নিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরেননি তবে জাহিদ ফারুক ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত থাকলেও বরিশাল সদর উপজেলা এবং মহানগরের বাসিন্দারা জাহিদ ফারুকের স্বানিধ্য পেয়েছে খুবই কম।

এর ফলে এ আসনে নৌকা তীরে ভেড়াতে কষ্টসাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, বরিশাল আওয়ামী লীগ তথা সকলস্তরের মানুষের আবদারে সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থী হয়েছে। তার পক্ষে গণজোয়ার বইছে, ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে সাদিক আব্দুল্লাহ বিজয়ী হবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।