নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের আয়োজনে নগরীর কাশিপুরস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার মিলনায়তনে বুধবার সকাল ৯টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (হর্টিকালচার উইং) কে.জে.এম আব্দুল আউয়াল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে.জে.এম আব্দুল আউয়াল বলেন, খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ মাশরুম অত্যন্ত স্বাস্থ্যপ্রদ একটি খাবার। মাশরুমের পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে অত্যাধিক এবং এর প্রোটিন অতি উন্নতমানের এবং মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। সম্ভাবনাময় ফসল মাশরুম চাষের মাধ্যমে জনসাধারণের পুষ্টি নিরাপত্তা, গ্রামীন নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পটি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুষ্টি সম্পন্ন ও পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণ, ক্ষুদ্র ও দরিদ্র কৃষক, নারী এবং সমাজের সকল পর্যায়ের মানুষের আয় ও বেকারত্বের নিরসনে এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বরিশাল অঞ্চলে ইতিমধ্যে ২১০জন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ৮০০ উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি, প্রণোদনা-পুনর্বাসন সহায়তা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও বহুবিধ ভর্তুকী প্রদানের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। তবে মাশরুমের গুনাগুন সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজিত কর্মশালায় কৃষি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মাশরুম উদ্যোক্তা, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।