ঢাকাসোমবার , ২১ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বরগুনার ৪০ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়ার দূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদন
আগস্ট ২১, ২০২৩ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় উন্নত উৎসের পানি পানের হার বেড়েছে, তবে এখনো ৪০ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়ার দূষণ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেষ জরিপে এ ফলাফল পাওয়া যায়।

সোমবার (২১ আগস্ট) বরগুনার আরডিএফ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সিমাভির অ্যান্ড লাইন ইভালুয়েশনে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বেইজলাইন ও এন্ডলাইন (২০১৮-২০২৩) জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, উন্নত উৎস থেকে পানি পানের হার বেড়েছে। তবে এর ৪০ শতাংশ নমুনায় ই-কলি ব্যাক্টেরিয়া এবং ৯ শতাংশ নমুনায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এছাড়া গড়ে ৯.৫ মিনিট পানীয় জলের উৎসের দূরত্ব কমেছে।

বেইজলাইন জরিপে ১৭ শতাংশ গৃহস্থালির পানীয় জলের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগত। এছাড়া খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে। হাইজিন অনুশীলন ৯ শতাংশ থেকে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ জরিপে মোট ১ হাজার ১১০টি খানা, ২৯টি স্কুল, ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক অংশ নেয়। যেখানে আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কলি ব্যাক্টেরিয়া তিনটি প্যারামিটারে মোট ৫৫৫টি খানার পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জরিপে কলাপাড়া পৌর এলাকার ১৬০ থানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে শেষ জরিপে একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ব্যাক্টেরিয়ার দূষণ বেড়েছে। বেইজলাইনে যা ছিল ১৯ শতাংশ।

সভাপতিত্ব করেন, কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নশা। পরিচালনা করেন, সিমাভির মনিটরিং ইভালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং অফিসার মো. শামসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনেয়ারা চম্পা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম, ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন ও বেতাগী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এবিএম মাসুদুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. শফিকুল ইসলামসহ অনেকে। এছাড়া সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৮০ জন নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিনিধিরা বলেন, ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় কর্মসূচি গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বাজেট বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সহায়তায় বিভিন্ন উঠান বৈঠক, ওয়ার্ড কমিটির সভাসহ বাড়ি পরিদর্শনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ফলে পানি, স্যানিটেশনের উন্নতি হয়েছে। সিমাভি এবং পার্টনার সংস্থাগুলোর (ডরপ, হোপ ফর দ্যা পুয়োরেস্ট, উত্তরণ, প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশন, স্লোব বাংলাদেশ) প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।