ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রাজধানী ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে অনুভূত এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৬। আবহাওয়া অফিস জানায়, এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশাল। মৃদু হওয়ায় অনেকেই কম্পন টের পাননি।
এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে আরও তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭—যার প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। নরসিংদী অঞ্চলে ভূমিকম্পের উৎসস্থল থাকায় এলাকাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে সারাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাণ হারান শিশুসহ ১০ জন, আহত হন ৬০০–র বেশি মানুষ। নরসিংদীতে পাঁচজন, ঢাকায় চারজন ও নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়। হঠাৎ কম্পনে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। বিভিন্ন এলাকায় ভবনে ফাটল ও কাঠামোগত ক্ষতির ঘটনাও ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই এলাকায় ধারাবাহিক ভূকম্পন ভূস্তরের অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। এ কারণে রাজধানীর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো জরুরি ভিত্তিতে পরিদর্শন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।
সরকারি দপ্তরগুলো নাগরিকদের সচেতন থাকার পাশাপাশি নিরাপদ ভবনে আশ্রয়, জরুরি সিঁড়ি ব্যবহারের অনুশীলন ও দুর্যোগ প্রস্তুতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
