নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চরমোনাইয়ের অগ্রহায়ণ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে নির্বাচন, গণভোট, নিরাপত্তা ও জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। আমীর মুফতি রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। “৫৪ বছর পর সুযোগ এসেছে—এটি কাজে লাগাতে না পারলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।”
তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনে প্রার্থী হইনি, ফলে মন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য দেশকে সঠিক পথে নেওয়া। যারা দুর্নীতিতে দেশে ক্ষতি করেছে, তারা আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। জনগণ পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরতে চায় না।”
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. এএফএম খালেদ হোসাইন বলেন, ধর্ম অবমাননার ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আইন হাতে নিবেন না, আমি আশ্বস্ত করছি—বাংলাদেশে কেউ ধর্ম অবমাননা করে পার পাবে না।”
দলীয় মহাসচিব ইউনুস আহমদ বলেন, আল্লাহর নির্দেশ—জালেমদের দিকে ঝুঁকে যেও না। তাই আগামী নির্বাচনে কোনো ভীতিপ্রদর্শন বা লোভের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।
যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, নিরাপত্তা দুর্বল; নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট—এটি চ্যালেঞ্জিং। আমরা আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবে মানুষ রক্ত দিয়েছে। দেশকে আবার পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরতে দেওয়া হবে না। যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো নয়-ছয় হয়, জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
সমাবেশে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করা হয়।
