ডেস্ক রিপোর্ট ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জাতীয় ঐক্য এবং অবাধ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিজয় দিবসের প্রেরণায় বলীয়ান হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করার শপথ নেওয়ার দিন আজ।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলেও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী চক্রান্ত এখনো চলমান। তাঁর অভিযোগ, আগ্রাসী শক্তি ও তাদের দেশীয় সহযোগীরা দেশের অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে একের পর এক প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে এবং সংবাদপত্রসহ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে ভয়, হতাশা ও নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর বক্তব্যে বলা হয়, ক্ষমতা দখলকারীরা নৃশংস দমন-পীড়ন চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে গুম ও হত্যা করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করেছে।
তিনি বলেন, যিনি জীবনের দীর্ঘ সময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, সেই অবিসংবাদিত নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তারেক রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবসের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। তাঁর ভাষায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে এক নিষ্ঠুর একনায়কের পতন হয় এবং দেশে আবার গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের আশা জাগে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। বিজয় দিবস উপলক্ষে সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তারেক রহমান।
