ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

দানবাক্সের টাকায় বৃদ্ধাশ্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদন
আগস্ট ২৯, ২০২৩ ১২:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : ধণাঢ্য ও প্রতিষ্ঠিত ছেলে-মেয়েদের বোঝা হয়ে ওঠা বৃদ্ধ বাবা ও মাকে নিয়ে নগরীর কাউনিয়া এলাকায় গড়ে তোলা বয়স্ক পুনর্বাসন কল্যাণ সংস্থা নামের বৃদ্ধাশ্রমটি এখন উদ্যোক্তা সাখাওয়াত হোসেনের চরম দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৪০ জন বয়স্ক ঋদ্ধ পিতা-মাতাকে ভাড়া বাড়িতে রেখে লালন-পালন করতে সাখাওয়াত ক্রমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও এখনো হাল ছাড়েননি। সরকার ও সমাজের বিত্তবানসহ প্রবাসীদের কাছ থেকে কোন ধরনের সহায়তা না পেয়ে নিরাশ হয়ে পরেছেন সাখাওয়াত হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা নগরীর পথে পথে হেটে এ পুনর্বাসন কেন্দ্রের জন্য অনুদান তুলে অসহায় ও দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন সাখাওয়াত। শুধুমাত্র সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বছরে ২০ হাজার টাকার অনুদান জুটছে এ বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রটির জন্য। খাদ্যপণ্যসহ সবকিছুর মূল্যস্ফীতির কারণে এ আশ্রমের নিবাসীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

নগরীর কাউনিয়া এলাকার তিনটি ভাড়া বাড়িতে অসহায় বয়স্কদের তিন বেলা আহার ও চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সাখাওয়াত নিঃস্ব হয়ে গেলেও হাল ছাড়েননি। জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাখাওয়াত চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। মা হারা সাখাওয়াতের বৃদ্ধ পিতাও তার সাথে এ বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পথে প্রান্তরে অসহায় মানুষদের মানবেতর জীবন দেখেই ২০১৫ সালে নিজ উদ্যোগে এ আশ্রমটি গড়ে তুলেছি। সেই থেকে পথে পথে হেটে অনুদান সংগ্রহ করে আশ্রমের নিবাসীদের মুখে তিন বেলা আহার তুলে দেওয়ার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছি। দুই সন্তানের জনক সাখাওয়াতের স্ত্রী ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ- কলেজে চাকরি করে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্নস্থান থেকে সন্তানদের তাচ্ছিল্যে থাকা বৃদ্ধদের তার বয়স্ক কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এমনকি তিনি (সাখাওয়াত) নিজেও পথে প্রান্তরে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধদের তুলে আনেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকেও মাঝে মধ্যে বয়স্কদের এখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম কোন সহায়তা মিলছে না। আর এসব অসহায় বয়স্কদের দেখভালে ১০ জন স্টাফসহ নিবাসী নারী ও পুরুষের জন্য তিনটি ভবন ভাড়া নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রটি চলছে।

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, প্রতিমাসে বয়স্কদের খাবার, ওষুধ এবং ভবন ভাড়া মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর উপর প্রতিনিয়ত নিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দানবাক্সের টাকায় আর চলছে না। এমনকি আগের চেয়ে দানও কমে এসেছে। এ আর্থিক সংকটের মধ্যে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে সন্তানদের দ্বারা বিতাড়িত বৃদ্ধরা এখানে আসতে চাইলেও তাদেরকে গ্রহন করতে সম্ভব হচ্ছেনা। সাখাওয়াত ও তার আশ্রয় কেন্দ্রের নিবাসীরা সমাজের বিত্তবান, প্রবাসীসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বয়স্ক কেন্দ্রটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মানবিক আবেদন করেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।