ঢাকারবিবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বরিশালে কাউন্সিলর-শ্রমিকলীগ নেতার অস্ত্র নিয়ে ধস্তাধস্তি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শ্রমিকলীগ নেতার মধ্যে অস্ত্র ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম মুরতজা আবেদীনের অভিযোগ তার ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছেন মহানগর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না। অপরদিকে মান্নার অভিযোগ তাকে গুলি করার জন্য কাউন্সিলর মুরতজা অস্ত্র বের করলে তিনিসহ উপস্থিত জনতা হাতেনাতে অস্ত্রটি ধরে ফেলে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর পোর্ট রোডস্থ সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, অস্ত্রটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর থানায় এসেছেন। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিও ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মুরতজা আবেদীনের। অপরটি রইজ আহম্মেদ মান্নার সহযোগীদের। এর মধ্যে মুরতজা আবেদীনের করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমি অফিস থেকে মুরতজা আবেদীন বের হওয়ার সময় অফিসের সামনে রইজ আহম্মেদ মান্না ও তার অনুসারীরা পাঁয়চারী করছে। মুরতজা আবেদীন তাদের অতিক্রম করে সড়কে এসে ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করেন। ইজিবাইক পেয়ে গেলে তাতে উঠে বসেন। তখন রইজ আহমেদ মান্না মুরতজা আবেদীনকে তুই সম্মোধন করে অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেন। এর প্রতিবাদে মুরতজা আবেদীন বলেন, “তুই আমার ভাইয়ের ছেলে। বয়সে ছোট। সেই অনুসারে কথা বল। তখন মান্না গালিগালাজ করতে করতে বলেন, তোর কান মলে দেব। এভাব তর্কে জড়িয়ে ইজিবাইকে বসে থাকা মুরতজা আবেদীনের ওপর হামলা চালান। এ সময় মুরতজা আবেদীন তার সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করলে তা মান্না ও তার সহযোগীরা মিলে ছিনিয়ে নেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইজিবাইকের মধ্যে মান্না ও মুরতজার মধ্যে পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। আর মান্না তার সহযোগিদের বলছেন, “তোরা ভিডিও কর। আমাকে গুলি করতে পিস্তল বের করছে। ভিডিও কর”।

ঘটনার সময়ে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শফিক আহমেদ বলেন, ভূমি অফিস থেকে অস্ত্র হাতে মুরতজাসহ দুইজন দৌড়ে এসে একটি হলুদ অটোর মধ্যে ঢুকে পড়েন। এ সময় কিছু লোকজন অস্ত্রসহ মুরতজাকে ধরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ অস্ত্র ও কাউন্সিলরকে হেফাজতে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউন্সিলর মুরতজা আবেদীনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর তার ওপর পুনরায় হামলা চালান মান্নার অনুসারীরা। এই নিয়ে পুলিশের এসআই রাকিবের সঙ্গে বেশ উচ্চবাচ্য হয় মান্না ও তার অনুসারীদের।

নগরীর স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পৌঁছানোর আগেই কাউন্সিলরের ওপর হামলা করা হয়। পরে আমরা তাকে হেফাজতে নেওয়ার পরও উত্তেজনা থামেনি।

কাউন্সিলর একেএম মুরতজা আবেদীন বলেন, আমার ওপর হামলা হতে পারে সেটা আমি আন্দাজ করতে পেরেছিলাম আগে থেকেই। কেননা বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমাকে ওরা (মান্না) ফলো করছিল। ভূমি অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরই আমার ওপর হামলা চালায় মান্নার লোকজন। এ সময় আমার কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মান্না।

মহানগর শ্রমিকলীগের আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না বলেন, আমি পারিবারিক জমির কাজে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে যাই। কাজ শেষে বের হয়ে গেটে আসা মাত্র মুরতজা আবেদীন আমাকে গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে হঠাৎ পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হয়।

উল্লেখ্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মুরতজা আবেদীনের অভিযোগের কারণে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা হারান মেয়র সাদিক অনুসারী রইজ আহম্মেদ মান্না। কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে এই দুইজনের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মীদের মারধর ও অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ায় ১৩ জনসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রইজ আহমেদ মান্না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।