এইচ.এম.এ রাতুল : গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা বিভাগে মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা নিয়ে গোটা বিভাগের ৬ জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৮৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পিয়ারা (৭০) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া পিরোজপুরের নাজিরপুরের কলারদোয়ানিয়া এলাকার মমতাজ (৬০) নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা এলাকার তারেকুল ইসলাম (৬৫) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪৫৮ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৬৮ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ৬১ জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ দুই হাসপাতালে বর্তমানে ৩৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন।
এছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ৮৪ জন, পটুয়াখালীতে ৪৫ জন, ভোলায় ৪৯ জন, পিরোজপুরে ৬৪ জন, বরগুনায় ৭৫ জন ও ঝালকাঠিতে ১২ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৯ হাজার ৬৩৪ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ৩৩৪ জন। এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ৭৫ জন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৮ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন, বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ২ জন, বরগুনায় হাসপাতালে ৫ জন, পটুয়াখালীতে ২ জন, পিরোজপুরের হাসপাতালে ৭ জন ও ভোলায় হাসপাতালে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।