ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের দত্তের পশুরিবুনিয়া গ্রামের খালটি দীর্ঘদিনেও খনন না করায় প্রায় একশত একর জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ গ্রামের কৃষি নির্ভর প্রায় ৫০টি পরিবার দিশে হারা হয়ে পড়েছে।
পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তের পশুরিবুনিয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশের্ব ভান্ডারিয়া উপজেলার সীমান্ত পর্যন্ত খালটি খনন না করায় প্রতি বছর ঐ এলাকার কৃষি পরিবার গুলো জলবদ্ধতার কারনে যেমনি হারাচ্ছে ফসল, তেমনি শুস্ক মৌসুমে পানি সংকটে চাষাবাদ তো দূরের কথা গৃহস্থলী কাজেও তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। ফলে এ মৌসুমে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এখানকার মানুষ। খাল খননের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের বরাবরে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত এর কোন সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
অপরদিকে প্রভাবশালীরা খালের অনেক অংশ ভরাট করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান ও গাছপালা রোপন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ বাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গী হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান জমাদ্দার জানান, জলবদ্ধতার কারনে পানি চলাচল করতে না পারায় আমাদের রোপনকৃত ফসল পঁেচ নষ্ট হয়ে যায় এবং শুকনোর দিনে পানির অভাবে কোন রবি শষ্য বপন করতে পারি না। এ সমস্য সমাধানের জন্য খালটি খননের জন্য সকারের কাছে অনুরোধ করছি।
এলাকার বাসিন্দা মোসাঃ মিনু বেগম ও পারুল বেগম বলেন, শুকনো মৌসুমে আমরা পানির অভাবে গোসল করাসহ রান্না-বান্নার কাজের অনেক কষ্ট হয়। আমাদের অনেক দূরে গিয়ে পানি বহন করে আনতে হয়। পানির অভাবে আমাদের এলাকার একটি পরিবার অন্য এলাকায় চলে গেছে। এ ছাড়া পানির জলবদ্ধতায় ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।
এলাকাবাসী মোঃ শাহজাদা জমাদ্দার জানান, আমাদের এ খালটি দীর্ঘ ৩০ বছরেও খনন না করায় শুস্ক মৌসুমে পানির অভাব দেখা দেয়, পানির মৌসুমে বিভিন্ন ডোবা ও নালায় পানি পঁেচ যাওয়ার এলাকার মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই খালটি খননের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি করছি।
দত্তের পশুরিবুনিয়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ জাকারিয়া বলেন, দত্তের পশুরিবুনিয়া গ্রামের খালটি দীর্ঘদিন খনন না করায় শুস্ক মৌসুমে এলাকার মানুষে চরম পানি সংকট দেখা দেয়। তাই খালটি খনন করা প্রয়োজন।
পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিশির দাস জানান, দত্তের পশুরিবুনিয়া গ্রামের খালটি খননের জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে। খালটি সরকারি নকসাভুক্ত এবং অধিকাংশ লোক এ খালটি খননের পক্ষে।